এ দিন মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে আইএসএফ এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়ের বিডিও অফিস চত্বর। রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বিজয়গঞ্জ বাজার এলাকা। পুলিশের সামনেই চলে বোমাবাজি, পরস্পরের দিকে ইট ছুড়তে থাকে দু দলের সমর্থক।
আরও পড়ুন: উত্তপ্ত ভাঙড়, মুড়িমুড়কির মতো বোমাবাজি! আরও বাহিনী পাঠানো হোক, নির্দেশ কমিশনের
advertisement
বিধানসভা নির্বাচনে ভাঙড়ে জয়ী হয়েছিলেন আইএসএফ প্রার্থী নওশাদ সিদ্দিকি। তার পর থেকেই ভাঙড়ে শক্তিবৃদ্ধি হয়েছে আইএসএফ-এর। অতীতেও আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছে ভাঙড়। এ দিন সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন আরাবুল ইসলাম নিজেও।
একটা সময় আইএসএফ সমর্থকদের পাল্টা হামলায় ভাঙড়ের দলীয় কার্যালয়ে আটকে পড়েন আরাবুল ইসলাম এবং তাঁর অনুগামীরা৷ দীর্ঘক্ষণ পর আরাবুল ইসলাম এবং তাঁর অনুগামীদের পুলিশি নিরাপত্তায় পার্টি অফিস থেকে েবর করে আনা হয়। এর পর তাঁদের ভাঙড় থানা এলাকার বাইরে বের করে দেয় পুলিশ। অন্যদিকে আইএসএফ কর্মীদের আক্রমণের মুখে খাল সাঁতরে পালিয়ে যেতে দেখা যায় তৃণমূল কর্মীদের৷
আরও পড়ুন: ‘ব্যস্ত আছি…’, ইডিকে চিঠি দিয়ে জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! আর কী লিখলেন?
এ দিন আরাবুল ইসলাম এবং তাঁর ছেলে হাকিমুল ইসলামের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। আরাবুলের ছেলে হাকিমুলের গাড়ির ভিতর থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও আরাবুলের দাবি আইএসএফ সমর্থকরা চক্রান্ত করে গাড়িতে বোমা রেখে দিয়েছে।
এ দিনের সংঘর্ষে এক আইএসএফ কর্মী এবং একজন তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে খবর। আইএসএফ-এর এক প্রার্থীও আহত হয়েছেন। ১৪৪ ধারাকে উপেক্ষা করেই চলে সংঘর্ষ৷