৪০ বছর আগে গোপাল বৈদ্যের বাবা জ্যোতিষ বৈদ্য মথুরাপুর ২ নং ব্লকের কাশীনগরে এই নৌকা আনেন। তখন যদিও মণি নদীর জলের ধারা এসে পুষ্ট করত এই শাখা খালটিকে। তখন নৌকায় করেই চলত পারাপার। পরে কালক্রমে এই শাখা খালে জলের প্রবাহ কমে আসতে থাকে। ক্রমেই মজে যেতে থাকে এই খাল। পানায় আটকে যায় জলপ্রবাহ। কমে আসে নৌকা চালানোর মত পরিসর। বাধ্য হয়ে নৌকাটিকে আড়াআড়ি করে খালের মধ্যে স্থাপন করা হয়। তার উপর কাঠের পাটাতন দিয়ে নৌকাটিকে বানিয়ে ফেলা হয় সাঁকোয়।
advertisement
আরও পড়ুন: নিত্য ঘটছে দুর্ঘটনা, প্রতিবাদে বিক্ষোভে শামিল স্থানীয় বাসিন্দারা
বর্তমানে এই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ জন ব্যক্তি যাতায়াত করেন। সাঁকো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তাদের কাছ থেকে নেওয়া হয় ১ টাকা। সমস্ত দিনে যা টাকা ওঠে তা দিয়ে সাঁকো রক্ষণাবেক্ষণ করার পর যা অবশিষ্ট থাকে তা দিয়েই অতিকষ্টে সংসার চালাতে হয় গোপাল বৈদ্যের। খালের পাশে একটি ত্রিপল ঘেরা ছোটো কাউন্টার খুলে তার মধ্যেই বসে থাকেন তিনি।
এ নিয়ে গোপাল বৈদ্য জানান দিনে ২০০ থেকে ২৫০ জন ব্যক্তি এই নৌকাসাঁকো দিয়ে যাতায়াত করেন। শুখা মরসুমে ব্যবহার করা হয় ১ টা নৌকা, বর্ষার সময় ২ টো নৌকা জুড়ে চলে পারাপার। সরকার যদি একটু পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করে তাহলে খুবই ভালো হয়। যে নৌকা ব্যবহার হত যাতায়াতের উদ্যেশ্যে, সেই নৌকাই এখন বিকল্প জীবিকার উৎস কাশীনগরে। যেভাবে দ্রুত এই জলের ধারা মজে যেতে বসেছে আগামীতে এই নৌকাসাঁকোতে পারাপার করা যাবে কিনা তা এখন প্রশ্নচিহ্নের মুখে। দ্রুত এই খাল সংস্কার করা না হলে ক্রমেই হারিয়ে যেতে পারে এই নৌকাসাঁকো। সমস্ত কিছু ভেবে এই নৌকাসাঁকো বাঁচিয়ে রাখার জন্য স্থানীয়রাও দ্রুত এই খাল সংস্কারের দাবিও তুলেছেন।
নবাব মল্লিক