নদী উপচে জল ঢুকেছে নিচু এলাকায়, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু নদী বাঁধ। সেচ দপ্তরকে দ্রুত বাঁধ মেরামতির জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ অমাবস্যার কোটাল থাকায় সুন্দরবনের নদী ও সমুদ্রে জলস্তর অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। বকখালি ও গঙ্গাসাগরে সমুদ্র উত্তাল হয়ে রয়েছে। বাঁধ টপকে জল ঢুকেছে সাগরের ঘোড়ামারা, ধবলাটে। কন্ট্রোলরুম থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবহার করা হচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। তবে জেলায় মেঘলা আকাশের সঙ্গে নাগাড়ে চলছে বৃষ্টি। ফলে, তাপমাত্রার পারদ নেমেছে অনেকটাই আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
advertisement
দুর্যোগের কারণে সুন্দরবনের গোসাবা, কাকদ্বীপ, সাগর, রায়দীঘি, পাথরপ্রতিমা, ডায়মন্ডহারবার সহ জেলার ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলার ২৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে তুলে আনা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। দেড়শোর বেশী ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে৷ ফ্লাড সেন্টার গুলোতে রান্নাকরা খাবার দেওয়া হচ্ছে। নদী বাঁধ এলাকার মানুষদের, এখনো চোখেমুখে রয়েছে আতঙ্কের ছাপ ৷
অন্যদিকে, সুন্দরবনের গোসাবায় নদী বাঁধ ভেঙে জল ঢুকেছে বিস্তীর্ণ এলাকায়৷ চলছে যুদ্ধ কালীন পরিস্থিতিতে বাঁধ মেরামতের কাজ। সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের কুমিরমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের মুধাঘেরি এলাকায় স্থানীয় কোরানখালি নদীর জলে, মাটির বাঁধ ভেঙেপড়ে বলে খবর৷ প্রায় দুটি জায়গায় ২৫ মিটার করে নদীর বাঁধ ভেঙে গিয়েছে ৷ বৃষ্টি মাথায় করেই ভাঙা বাঁধ মেরামতির কাজে স্থানীয় মানুষদের পাশাপাশি জেসিবি নামানো হয়েছে৷ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন গোসাবার নব নির্বাচিত বিধায়ক সুব্রত মন্ডল ও বিডিও বিশ্বনাথ চৌধুরী৷ বাসন্তীর রামচন্দ্রপুরের হোগল নদী পাড় এলাকায় পরিদর্শন করেন বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মন্ডল৷ জেলার পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে প্রশাসন৷ কবে এই আবহাওয়া পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে এখন সেদিকেই তাকিয়ে জেলার দুর্গত মানুষেরা।






