শহরের প্রথম মহিলা টোটো চালিকা হিসেবে তিনি অনেক মহিলাকে স্বনির্ভর হওয়ার রাস্তা দেখিয়েছেন। এবার তিনি তাঁর টোটোর ছাদে, সাইডের বিভিন্ন জায়গায় লাগিয়েছেন অজস্র ছোট ছোট গাছ । এই সকল গাছের মধ্য দিয়েই সবুজায়নের বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছেন সবার মধ্যে।
আরও পড়ুন: বিকট শব্দে কেঁপে উঠল কোচবিহার! ভূমিকম্প বা বিস্ফোরণ নয়! আওয়াজ রহস্যে বাড়ছে ভয়
advertisement
প্রসঙ্গত, চলতি সময়ে শহর জুড়ে গড়ে উঠছে শুধু কংক্রিট, সেই কংক্রিটের মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ আর এই বিশ্ব উষ্ণায়নে সবুজায়নের গুরুত্ব ঠিক কতটা তা বুঝিয়ে দিয়েছিল covid-19। করোনাকালীন সময়ে বহু মানুষের মৃত্যু ঘটেছিল অক্সিজেনের অভাবে।
করোনা অতিমারির সময় যখন মানুষ মানুষের থেকে দূরত্ব রেখেছিল সেই সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন শিলিগুড়ির মুনমুন দেবী। তিনি জানান, “কোভিডের সময় অক্সিজেনের অভাবে বহু রোগী তার টোটোতেই প্রাণ হারিয়েছিলেন আর এই দৃশ্য দেখে বুঝতে পারি যে আমাদের পরিবেশের জন্য গাছ ঠিক কতোটা প্রয়োজনীয়। ও তখনই মুনমুন দেবী সিদ্ধান্ত নেন সাধারণ মানুষের মধ্যেও যেন গাছের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সচেতনতা জাগে”
গাছের প্রতি ভালোবাসা এবং সবার মধ্যে সবুজায়নের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্যই তিনি এমন গাছের আয়োজন করেছেন। তাঁর দাবি, এইভাবে গাছ লাগানো হলে টোটোর কোনও ক্ষতি হয় না, খুব একটা ওজনও বেড়ে যায় না। অথচ সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় এবং চালক থেকে যাত্রী প্রত্যেকেই গাছের ছায়ায় ঠাণ্ডা অনুভব করেন।
অনির্বাণ রায়