স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ লাইট না থাকার কারণে সন্ধ্যার পরেই চিন্তায় চুরি বাড়ছে। বাজে আড্ডা হচ্ছে, এর ফলে মা-বোনদের পথে যেতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে প্রধান পঞ্চায়েতের কাছে আবেদন জানানোর পরেও কোন সুরাহা হয়নি। বারবার এলাকার বাসিন্দারা বিদ্যুৎ দফতরের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেছেন কিন্তু তাতেও সুরাহা হয়নি। বছরের পর বছর কেটে গেলেও অন্ধকারেই কাটছে তাদের জীবন। আগে এই এলাকার বাসিন্দাদের উদ্যোগে বিদ্যুতের খুঁটি পুঁতে কেবল তার টাঙানো হয়।
advertisement
তারপর বসে ট্রান্সফর্মার। কিছুদিন আলো জ্বললেও তারপরে বছর কেটে গেলেও আলোর দেখা মেলেনি হরিপুর এলাকায়। বলা হয়েছিল কয়েক দিনের মধ্যেই ট্রান্সফর্মারের সঙ্গে লাইন জুড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু এই প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর ৩ বছর কেটে গেলেও অন্ধকারেই এলাকাবাসীরা। প্রশাসনের এই খামখেয়ালিতে বেজায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। যার কারণে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় তাদেরকে। স্থানীয় বাসিন্দা অনিমেষ সরকার জানান, তাঁরা বারবার বিদ্যুৎ দফতর সহ এলাকার পঞ্চায়েতের নজরে এনেছেন বিষয়টি।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েই চলেছে শিলিগুড়িতে! চিন্তিত স্বাস্থ্য দফতর
কিন্তু তারপরেও কোনরকম তৎপরতা দেখা যায়নি সংশ্লিষ্ট মহল থেকে। এদিকে অন্ধকার রাস্তায় চুরি ছিনতাই প্রবণতা ও দিন দিন বেড়েই চলেছে তাদের দাবি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এলাকায় আলোর ব্যবস্থা করলে তারা নিশ্চিন্তে বাস করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ফুলবাড়ি ১ পঞ্চায়েত প্রধান নমিতা করাতি জানিয়েছেন দীর্ঘদিন ধরেই তারা চেষ্টা করেছে,এর আগেও প্রায় ৯৫ টি লাইট লাগানো হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ বিদ্যালয় চত্বরে নেশাগ্রস্ত যুবকদের উপদ্রব! আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এলাকায়
কিন্তু তার গুলো সঠিক না থাকায় সমস্ত লাইট লাগানো সম্ভব হচ্ছে না এবং এলাকাটিও বেশ বড় হওয়ায় প্রচুর পরিমাণে অর্থের প্রয়োজন যা এখন তাদের কাছে নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের থেকে একটু সাহায্য পেলে তবে আমরা এই সমস্যার সমাধান করতে পারব বলে জানান তিনি।
Anirban Roy