যেসব শিশুরা কেবল শিক্ষা নয়, জীবনের সব সুযোগ-সুবিধা থেকেই বঞ্চিত, সেই সব শ্রমজীবী বা পথশিশুদের অবস্থা আরো করুণ। শ্রমজীবী শিশুদের একটি বড় অংশ নিয়োজিত আছে বাসা-বাড়িতে পরিচারিকার কাজে। শারীরিক নির্যাতনের অন্যতম বড় ক্ষেত্র হচ্ছে যৌন নির্যাতন। কণ্যাশিশুরা অবস্থানভেদে নিরবে-নিভৃতে প্রতিনিয়ত শিকার হয় এ যৌন নির্যাতনের। পরিসংখ্যান বলছে, পরিবারেই শিশুরা সবচেয়ে বেশি যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। পরিবারেই তারা সবচেয়ে বেশি অনিরাপদ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ রাস্তা নাকি পুকুর! সংস্কারের দাবিতে পথে নামলেন স্থানীয়রা
অনেক সময় শিশুর বাবা-মা বা অভিভাবকরা বিষয়টি জেনেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না বা করতে পারেন না। তাই এ জাতীয় ঘটনা থেকে যায় সবার অগোচরে। অনেক সময় সারাজীবন। অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাপী চন্দ জানান, এই পদ যাত্রার মধ্যে দিয়ে তিনি অভিভাবকদের জানাতে চান নিজেদের সন্তানদের সাথে সুলভ আচরণ করুন তবেই সার্থকতা পাবেন।
আরও পড়ুনঃ পাহাড় জুড়ে চলছে অবৈধ নির্মাণ! হাতুড়ি চালাল দার্জিলিং পৌরসভা
বাপীবাবু আরো বলেন শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ তাদের এখন থেকেই সঠিক ভাবনায় শিক্ষিত করতে না পারলে সমাজ তাদের নিচু চোখে দেখবে। শিশু নির্যাতন রোধ করতে গ্রহন করা যায় নানা ধরণের প্রতিরোধ এবং প্রতিকারমুলক ব্যবস্থা। তবে এই সকল প্রতিকার বা প্রতিরোধমুলক ব্যবস্থা হয়তো নির্যাতন রোধ করতে সাহায্য করতে পারে কিন্তু সম্পূর্ণরূপে শিশুদের নির্যাতন বন্ধ করা তখনই সম্ভব যখন মানুষের মাঝে শিশুদের নির্যাতন নিয়ে সচেতনতা তৈরি হবে। একদিনে বা এক জনের পক্ষে হয়তো নির্যাতনের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা সম্ভব নয় কিন্তু নিজের পরিবারে বা এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধি করা একজনের পক্ষে সম্ভব হতে পারে।
Anirban Roy