প্রসঙ্গত, উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে পাট শিল্প উপমহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শিল্পে পরিণত হয় এবং কলকাতা বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাটজাত দ্রব্য উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হয়। তবে বিশ শতকের প্রথম তিন দশক থেকে পাটশিল্পের অভাব হতে শুরু করে এখন কেবল হস্তশিল্পে পরিণত হয়েছে এই শিল্প।
আরও পড়ুন ঃ ফিল্মি কায়দায় শিলিগুড়িতে উদ্ধার ৩০ কোটির মাদক!
advertisement
যুগের তালে মানুষ পাটের তৈরি জিনিস ব্যবহার করা ভুলেছে। তাই সেই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সঞ্জিত আজও হরিণ, ঘোড়া বানিয়ে আসছেন। ভিন্ন রাজ্যে ঘুরে ঘুরে তিনি বিক্রি করছেন তার নিজের হাতের বানানো ঘোড়া, হরিণ ইত্যাদি।
পাট শিল্পী সঞ্জিত কুমার সাহা বলেন, “পাট শিল্প ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবার মুখে। পাট দিয়েই এই হরিণ ঘোড়া তৈরি করি আমি। আমার হাতের তৈরি জিনিস বিক্রি করতে বহু রাজ্যে ঘুরেছি । দাম মাত্র ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। আসা যাওয়ার পথে বহু লোক আমার তৈরি এই হরিণ দেখে দাঁড়িয়ে একবার হলেও দেখছে। এই নিয়েই আমার দিব্যি চলে যাচ্ছে।”
আরও পড়ুন ঃ মড়মড় করে হঠাৎ শব্দ, ফুটবল ম্যাচ চলাকালীন দর্শকশুদ্ধ ডাল ভাঙল মাঠেই, রইল ভিডিও
অন্যদিকে পাটের হরিণ কিনতে এসে অনামিকা রায় জানান, “রাস্তা দিয়ে চলতে চলতে হঠাৎই নজরে আসে এই হরিণগুলি। খুব সুন্দর করে বানিয়েছে এই হরিণগুলি। এগুলি তো এখন আর দেখতে পাওয়া যায় না। তাই স্মৃতি হিসেবে একজোড়া হরিণ কিনে নিলাম।”
অনির্বাণ রায়