মূলত কানপুর থেকে এসেছে এই যুবকদের দল। তাদের ধর্ম আলাদা হলেও হিন্দু ধর্মের মানুষের এই উৎসবকে রঙিন করে তুলতে প্রতিবছরের প্রচেষ্টা থাকে তাদের। প্রায় ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গাতে রং এবং তার সঙ্গে ডিজাইন করা ছাঁকনি নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেন তারা। একইভাবে এই বছরও কানপুর থেকে শিলিগুড়ি এসেছে একটি দল। যেখানে রয়েছে প্রায় ৭০ জন। জানা গিয়েছে শিলিগুড়ির বিভিন্ন জায়গাতে বাড়ি ভাড়া করে থাকছেন তারা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ এবার তরুণ সংঘের কালী পুজোর মণ্ডপে মায়াপুরের ইসকনের মন্দির
বিধান মার্কেট, হংকং মার্কেট, শেঠ শ্রীলাল মার্কেট সহ শহরের প্রায় সমস্ত মার্কেটের দেখা যায় তাদের। কেবলমাত্র শহরই নয় মহকুমার বাজারেও তাদের দেখা যায়। আল্পনা আঁকা ছাঁকনি ও রং বিক্রি করেন তারা। এই দলেরই সদস্য রহমত আলী বলেন, "এই রেডিমেড আল্পনার ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। শিলিগুড়িতে এর বিক্রি অনেক হয়। তাই আমার প্রতিবছর এখানে আসি। আমাদের বাবারা কয়েক বছর আগে এখানে এসেছিল। এখন আমরা আসি।"
আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়ির জংশন রেলওয়ে স্টেশনের যাত্রী প্রতিক্ষালয়ে অগ্নিকান্ড! ঘটনায় চাঞ্চল্য
আনোয়ার খান বলেন, "এখানে আমরা একসঙ্গে বাড়ি ভাড়া করে থাকি। ও সকালে যে যার মত কাজে বেরিয়ে যায়। এবছরও ভালো বিক্রি হচ্ছে।" সারাবছর সিঁদুর বিক্রি করে তাদের সংসার চলে। দীপাবলি ও হোলির আগেই তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় যায়। এবছর গতবছরের তুলনায় দাম বেড়েছে। ১০০ গ্রাম রঙের দাম রয়েছে ১০ থেকে ২০ টাকার মধ্যে।
Anirban Roy