পদযাত্রায় শহরের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, শিল্পী সাহিত্যিক, স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা উপস্থিত ছিলেন। পদযাত্রায় পা মিলিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, “করোনার জেরে অনেক মানুষের ফুসফুস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাজেই দীপাবলিতে দূষিত বাজি পোড়ানো হলে ওই মানুষজনকে সমস্যায় পড়তে হবে। ডেঙ্গি অতিমারির আবহে আরও কিছু মানুষ এই দূষণের জন্য অসুস্থ হোক তা আমরা একেবারেই চাই না। গত দু'বছর সচেতনতামূলক প্রচার চালানোয় আমাদের কথা শুনে অনেক মানুষ বাজি পোড়ানো থেকে বিরত থেকেছেন।’
advertisement
আরও পড়ুনঃ যৌনপল্লীতে বসবাসকারী ২০০ জন শিশুর হাতে খাদ্য সামগ্রী
পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ন্যাফের আহ্বায়ক অনিমেষ বসু বলেন, শহরের ডেঙ্গি পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করছে। পুরসভা, প্রশাসন ডেঙ্গি মোকাবিলার চেষ্টা করলেও, সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে।' তাঁর আরও বক্তব্য, “হাইকোর্ট সবুজ বাজি বিক্রি ও . পোড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। সাধারণ মানুষ বাজি কেনার সময় প্যাকেটের গায়ে কিউ আর কোড স্ক্যান করে যেন দেখে নেন সেটি গ্রিন ক্র্যাকার কি না।
আরও পড়ুনঃ জঙ্গলে গাছ কাটার সময় বন কর্মীদের অভিযানে গ্রেফতার ১
কেননা অন্য ধরনের বাজি মানুষের পাশাপাশি পশু, পাখি পরিবেশের পক্ষেও দারুণ ক্ষতিকারক।' হাইকোর্টের তরফে পশ্চিমবঙ্গে গ্রিন ক্র্যাকার ব্যতীত সমস্ত ধরনের আতশবাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে আতশবাজি বিক্রি করা হচ্ছে। শিলিগুড়ি শহরেও এই ধরনের বাজি বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন অভিযান শুরু করেছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
Anirban Roy