মানুষ এখন মহালয়া দেখে টেলিভিশনে বা তাদের মুঠো ফোনে৷ সারা বছর রেডিও ধুলোমাখা অবস্থায় ঘরের কোনে পরে থাকলেও মহালয়ার আগে সেটা ধুলোঝেরে সারাই করার হিড়িক পরে রেডিও মেকানিকদের কাছে৷ কিছু অর্থের মুখ দেখেন রেডিও মেকানিকরা৷ এখন মানুষ মোবাইল সহ বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রে রেডিও শুনে তাই রেডিওর চাহিদা অনেকটাই কমে গেছে। খুব কম সংখ্যক মানুষ রেডিও শোনে ৷ রেডিও কেনার চাহিদা থাকলেও সেটা খুব কম৷
advertisement
আরও পড়ুনঃ পুরোনো স্মৃতি ফিরছে শহরে! মহালয়ায় ৪৬টি মোড়ে বাজবে মহিষাসুরমর্দিনী
বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগ৷ প্রতিটি বাড়িতে এখন টেলিভিশন৷ প্রতিটি মানুষের কাছে এখন মোবাইল ফোন৷ ফোনেই শোনা যায় রেডিও৷ প্রতিটি প্রবীন বাঙ্গালি মহালয়ার দিন মহালয়া শোনার জন্য রেডিও সারাই করেন৷ কিন্তু ছবি আর নেই৷ মেকানিকদের কাছে রেডিও সারাইয়ের কাজ নেই তাই অন্যান্য বৈদ্যতিক সামগ্রী সারাইয়ের কাজ করেন তারা৷ রেডিও মেকানিক অমিয় রায়ের কথায় বর্তমান ডিজিটাল দুনিয়ায় ইন্টারনেট এফএম ইউ টিউব ইত্যাদি সংখ্যা এত বেড়ে গিয়েছে যে মানুষ রেডিওর কথা ভুলেই যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ পুজোর গাইড ম্যাপ প্রকাশ জেলা পুলিশের, দেখে নিন কোন রাস্তায় ঘুরবেন পুজোতে
তবে নতুন রেডিও বিক্রি হলেও পুরোনো পুরনো রেডিও বিক্রির চাহিদা তেমন নেই। অন্য আরেক রেডিও মেকানিক অজয় কুমারের কথায় রেডিও এখন মিউজিয়ামে রাখার জিনিস হয়ে গিয়েছে আমার দোকান থেকে লোকে রেডিও কিনতে আসে সাজিয়ে রাখার জন্য, বাড়িতে নিয়ে যায়।
Anirban Roy