পয়লা বৈশাখ, বাঙালীর নববর্ষ মানে আবেগ, বাঙালীর নববর্ষ মানে নিজেদের গর্ব, নিজেদের সংস্কৃতি। ইংরেজি নববর্ষে যেমন গোটা বিশ্ব মেতে ওঠে। কিন্তু বাঙালীর কাছে তার থেকেও বেশি মূল্যবান পয়লা বৈশাখ। আর এই নববর্ষর আগের দিন একদম অনন্যভাবে স্বাগত জানানোর ছবি দেখা গেল শিলিগুড়িতে। নিদাঘ উৎসবের মধ্যে দিয়ে শেষ হল চৈত্রের প্রহর। শেষ প্রহরে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা রঙীন আলপনায় সাজিয়ে তুললো কচিকাঁচারা। তাদের হাতের তুলির টানে গোটা রাস্তা যেন একটা আস্ত ক্যানভাস। সঙ্গে চললো রবি ঠাকুরের গানে নাচ। বৈশাখের স্বাগত গানে কন্ঠ মেলালো একাধিক শিল্পীরা৷ সঙ্গে গাজন, আর লোকসঙ্গীত। ছিল হাতে আঁকা কার্ড তৈরি, মুখোশ তৈরির প্রতিযোগিতাও।
advertisement
রাত থেকেই শতাধিক শিল্পীদের দেখা গেল পয়লা বৈশাখকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতিতে। শিলিগুড়ির বাঘাযতিন পার্ক ময়দানে নাচেগান একটা সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা৷ সঙ্গে গোটা রাস্তা জূড়ে চললো আলপনা দেওয়া। শিল্পীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও দেখা গেল স্বতঃস্ফূর্তভাবে আলপনা আঁকাতে অংশগ্রহণ করতে। অর্চকের তরফে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। করোনার কারণে গত দু'বছর ভালোকরে নববর্ষকে স্বাগত জানানো সম্ভব হয়নি। কিন্তু এই বছর সেই সুযোগ কোনভাবেই হাতছাড়া করতে রাজি নয় কেউ।
আরও পড়ুন: প্রকৃতির মাঝেই নদীর পাড়ে মহড়া কক্ষ বানিয়ে নাট্যচর্চায় শিল্পীরা
অর্চকের শিল্পী অদিতি দাস ঘোষ বলেন, "পয়লা বৈশাখ বাঙালীর আবেগ ও সংস্কৃতি। আর সেটাকে আঁকড়ে ধরেই আমরা এগোতে চাই। নাচেগানে, কবিতা, আবৃত্তিতে নববর্ষকে স্বাগত জানাবো আমরা। বাংলাদেশ থেকেও শিল্পীরা এসেছেন এবার৷ খুব ভালো লাগছে।" শিল্পী তাপু দে বলেন,"গোটা রাস্তা আলপনায় সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। শিল্পীরা তো বটেই, সাধারণ মানুষও অংশ নিচ্ছে।" সঞ্চিতা পাল বলেন, "এইধরনের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে খুব ভালো লাগছে। দিনভর নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে নববর্ষকে স্বাগত জানাবো আমরা।"
অনির্বাণ রায়