মূর্তির প্রধান নির্মাতা মৃৎশিল্পী অধীর পাল বলেছেন পুরো মূর্তিটি ফাইবারের করা হচ্ছে । গায়ে সোনালী রং করাটাই বাকি রয়েছে। গোটা বছরই ফাইবারের কাজ করা হয়ে থাকে তবে এবার এত উঁচুতে প্রথম আমাদের তৈরি করা মূর্তি যাচ্ছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর সবকিছু স্বাভাবিক হতেই গত বছরের শেষ দিকে ওই গুম্ফার প্রতিনিধিরা এসে কুমোরটুলিতে হাজির হন। এছাড়াও অধীর বাবু জানান দীর্ঘ ৯ মাস ধরে এই কাজ চলছে তার মাঝেই তাদের প্রতিনিধিরা এসে তদারকি করে যাচ্ছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: হাওড়ায় বাস দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকার চেক দেওয়া হল! জানুন
বৌদ্ধ ধর্ম গুরুদের হাত ধরেই শিলিগুড়িতে কুমোরটুলিতে বৌদ্ধ শিল্পকলার সূচনা । বর্তমানে কুমোরটুলির একাধিক কারখানায় পুজোর মরশুমে হিন্দু দেব দেবীর প্রতিমার পাশাপাশি বৌদ্ধ ধর্মের বিভিন্ন মূর্তি তৈরীর কাজকর্ম চলে আসছে। যার মধ্যে দুটি কারখানা সারা বছর কাজ করছে। জানা যায় ২৫ বছর আগে শিলিগুড়ি শিল্প উন্নয়ন সমিতির সভাপতি অধীর পালের কারখানাতেই মিরিকের এক গুম্ফার ধর্মগুরু। কিন্তু দুর্গা প্রতিমা কালী প্রতিমার তুলনায় এই কাজ যে অনেকটাই আলাদা তিনি বুঝতে পারেন।
সকলের সহযোগিতার জেরেই আজ তিনি সফলভাবে বুদ্ধমূর্তি বানাতে পারছেন। তবে কুমোরটুলির বৌদ্ধ শিল্প চর্চায় নাম হয় মহাকাল মূর্তির মধ্য দিয়েই সেই মূর্তি সিকিমের রাংলের গুম্ফায়ে ২০ বছর আগে নিয়ে যাওয়া হয়। শিলিগুড়ির মৃতশিল্পী উন্নয়ন সমিতির সভাপতি বলেছিলেন মূর্তিটি বোধগয়ায় বৌদ্ধদের প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে জায়গা করে নিয়েছিল। বর্তমানে ভুটানের পাশাপাশি সিকিম মিজোরাম অরুণাচল প্রদেশে শিলিগুড়ির কুমোরটুলির বৌদ্ধ শিল্পকর্ম যাচ্ছে। যার মধ্যে থাকছে গৌতম বুদ্ধর মূর্তি, গুরু রিম্বুচির মূর্তি।
অনির্বাণ রায়