শহর সংলগ্ন ডাবগ্রাম-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের নেপালি বস্তি এলাকায় একটি বাইসনকে দেখা যায়। জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। অনেকেই বাইসনটিকে দেখতে ভিড় জমান। লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গলের ভিতর চলে যায় বাইসনটি। তবে দিনভর এলাকায় টহল দেন বনকর্মীরা।
আরও পড়ুন: উপচে পড়ছে পর্যটকদের ভিড়! বেঙ্গল সাফারি পার্কে দারুণ চমক
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এদিন সকাল আটটা নাগাদ নেপালি বস্তি লাগোয়া সাহু নদীর তীরে বাইসনটিকে প্রথম দেখতে পাওয়া যায়। লোকালয়ে বাইসন আসার খবর ছড়িয়ে পড়তেই দলে দলে মানুষ ভিড় করতে থাকেন ওই এলাকায়। খবর পেয়ে এলাকায় আসেন বনকর্মী ও বনদফতরের আধিকারিকরা। জঙ্গলে চলে যাওয়ার পরেও বাইসনটির খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়।
ডাবগ্রামের রেঞ্জ অফিসার শ্যামাপ্রসাদ চাকলাদারের বক্তব্য, "সকাল আটটা নাগাদ বাইসনটিকে প্রথম দেখতে পাওয়া যায় বলে জানতে পেরেছি। আমাদের কাছে সকাল ১১টা নাগাদ খবর আসে। ডাবগ্রাম হেডকোয়ার্টার, ফাড়াবাড়ি ও চুটকিয়াভিটা রেঞ্জ অফিস থেকে কর্মীদের নিয়ে আসা হয়। সকলের তৎপরতায় বাইসনটিকে জঙ্গলের ভেতরে প্রবেশ করান গিয়েছে।' আপাতত জন্তুটি নিরাপদ জায়গায় রয়েছে বলে বন দফতর সূত্রে খবর। রাতভর বন দফতরের তরফে পাহারা থাকবে। পুলিশের তরফেও নজরদারি চালানো হবে।"
আরও পড়ুন: সংস্কৃতি আর ইতিহাসের খোঁজে সাইকেলে চেপেই ৩৬ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিল মেহুল
স্ন্যাপ ফাউন্ডেশনের অধিকর্তা কৌস্তুভ চৌধুরীর বলেন, "এর আগে রাজগঞ্জ ব্লকের মাম্তাদারির জঙ্গলের দিকে একটি বাইসনকে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। সে টাই হয়তো নেপালি বস্তির দিকে চলে আসতে পারে। যেহেতু শুষ্ক আবহাওয়া, তাই হয়তো জলের খোঁজে ঘুরতে ঘুরতে এই এলাকায় প্রবেশ করেছে ওই বাইসনটি। "
বাইসনটি জঙ্গলের দিকে চলে যাওয়ার পর বন দফতরের আধিকারিকরা দীর্ঘক্ষণ সেটির খোঁজে তল্লাশি চালান। ডাবগ্রাম রেঞ্জ এলাকায় জঙ্গলের ভিতর বেশ কয়েক জায়গায় প্রাণীটির পায়ের ছাপ চিহ্নিত করেন বনকর্মীরা। তাঁদের ধারণা, বাইসনটি মহানন্দা অভয়ারণ্যের দিকে চলে যেতে পারে। বন দফতরের পক্ষ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের জঙ্গলের দিকে যেতে নিষেধ করা হয়। এই নিয়ে বন দফতরের পক্ষ থেকে মাইকিংও করা হয়।
অনির্বাণ রায়