পুজোতে রাজা ফালাকাটা, তুলাকাটা ও ধনাকাটা নামে তিনটি বিগ্রহ তৈরি করে এলাকার মানুষ পুজো করেন। এই ফালাকাটা রাজার পুজোর পিছনে রয়েছে অনেক অজানা ইতিহাস। এই ফালাকাটার পুজোর মানেই শিব ঠাকুরের পুজো। অতীতে দেবী চৌধুরানী এই মন্দিরের স্থাপনা করেছে বলে কথিত রয়েছে। তিনি এই মন্দিরে রাজা ফালাকাটা, তুলাকাটা ও ধনাকাটার পুজো করে আসতেন। সেই থেকেই আজও পুজো হয়ে আসছে। এই পুজোর মাধ্যমেই আমন ধানের চারা রোপন শুরু হয় আমবাড়ি এলাকার মাঠে মাঠে।
advertisement
মূল তিনটি বিগ্রহ ছাড়াও প্রচুর দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে এই মন্দিরে। আষাঢ় মাসে প্রতি শনিবার এবং মঙ্গলবার এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আমন ধান রোপণের আগেই মূলত রাজা ফালাকাটার পুজো করা হয়। রাজগঞ্জ ব্লক ছাড়াও বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর মানুষ পুজোতে আসেন।অনেকে এসে মানতও করেন। তাদের সেই মনস্কামনা পূর্ণ হলে পরের বছর পুজোর সময় দেবতার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জিনিস উৎসর্গ করেন।
শিলিগুড়ি খবর | Siliguri News
পুজো কমিটির সদস্য মনোরঞ্জন রায় জানান, “বাবা ঠাকুরদার কাছে শুনেছি শতাধিক বছর আগে এলাকাটি গভীর জঙ্গলে ঘেরা ছিল।বাঘ সহ বিভিন্ন হিংস্র জন্তুর দেখা পাওয়া যেত।বর্তমানে যেখানে ফালাকাটা পুজো হয় সেখানে দেবী চৌধুরানী আগে পুজো করতেন। আজও রীতি মেনে পুজো হয়ে আসছে।” মন্দিরে পুজো দিতে আসা এক ভক্ত শ্যামলী রায় জানান, “ঠাকুরদার হাত ধরে ছোটবেলা থেকেই আমরা এই পুজো দিতে মন্দিরে আসছি। রাজবংশী সম্প্রদায়ের “আষাড়ি গ্রাম পূজা” বলে এই পুজো প্রচলিত রয়েছে। বহু দূর দূরান্ত থেকেই লোক এই সময় পুজো দিতে এখানে আসেন।”
অনির্বাণ রায়