ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম বলেন, \"ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পৌরনিগম ইতিমধ্যে সেই বিষয়ে কাজ শুরু করেছে। পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে স্পর্শকাতর ওয়ার্ডে দ্রুত কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে। ওই ওয়ার্ডে জমা জলের একটা সমস্যা রয়েছে। পাশাপাশি নিকাশি নালাতেও যাতে জমা জল না থাকে সেই সমস্যাও অস্থায়ীভাবে সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।\" পাশাপাশি দার্জিলিংয়ের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তুলসি প্রামাণিক বলেন, \"চারটি ওয়ার্ড স্পর্শকাতর। সেই ওয়ার্ডে কাজ শুরু হয়েছে। অন্যান্য ওয়ার্ডেও কিছু আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে। পাশাপাশি মাটিগাড়া ও বাগডোগরা এলাকাতেই নজর রাখা হচ্ছে।\"
advertisement
আরও পড়ুনঃ এনজেপি চত্বরে ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের নোটিশে দিশেহারা ১০০ পরিবার
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি পৌর এলাকাতে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি। জুলাই মাস পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৮৬ জন। ইতিমধ্যে ডেঙ্গু নিয়ে সতর্কতা অভিযান শুরু করেছে পৌরনিগম। তবে স্পর্শকাতর ওয়ার্ড নিয়ে বিশেষ পদক্ষেপ করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ইতিমধ্যে মশার লার্ভা দমনে পৌর এলাকার পাঁচটি বরোভিত্তিক এলাকায় আড়াই লক্ষ গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কাজ নেই! পুজোর আগে দুশ্চিন্তায় পাথর শ্রমিকেরা
পাশাপাশি একশোটি ফগিং ও স্প্রেয়িং মেশিন কিনেছে পৌরনিগম। সেগুলিকেও ইতিমধ্যে কাজে লাগানো হয়েছে। পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সিসিইউ ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যার ফলে একদিকে যেমন আতঙ্কিত শহরবাসী অন্যদিকে, প্রশ্ন উঠছে স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসে স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা।
কীভাবে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে সেই কারণই খুঁজতে শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ডেঙ্গু পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের চারটি ওয়ার্ডকে স্পর্শকাতর ওয়ার্ড হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, পৌরনিগমের ৪, ৫, ১৪ ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ড স্পর্শকাতর। যার মধ্যে পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড অতি স্পর্শকাতর ওয়ার্ড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গত চব্বিশ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২৪ জনের মধ্যে আট জনই ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা। যার মধ্যে রয়েছে চারজন শিশু।
Anirban Roy