উল্লেখ্য, দ্বিতীয় জলপ্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরুর আগেই শিলিগুড়ির জন্য একজন চিফ ইঞ্জিনিয়ার সহ ইঞ্জিনিয়ারদের একটি টিম কলকাতা থেকে এসে কাজ শুরু করেছেন। আগামী মাসের ১২ তারিখ সেই টেন্ডার খোলার পর বরাতপ্রাপ্ত সংস্থার কাজ পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে বলে আশা মেয়র গৌতম দেবের। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ মাস।
advertisement
আরও পড়ুন: বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের মুকুটের নতুন পালক, গড়ে উঠছে পৃথক সিসিইউ ব্লক
ঠিক হয়েছে, প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজে গজলডোবা থেকে ফুলবাড়ি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট পর্যন্ত জলের লাইনের কাজ হবে। পরবর্তী পর্যায়ের কাজ হবে জল পরিস্রুত করে তা বাড়ি বাড়ি পৌঁছনো। পুরো কাজ শেষ হতে কয়েক বছর সময় লাগবে। এই মুহূর্তে শিলিগুড়ি পুরনিগমের লক্ষ্য যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করে দেওয়া। এরজন্য রাজ্য সরকার, কেন্দ্রের আম্রুত প্রকল্পের অর্থের পাশাপাশি শিলিগুড়ি পুরনিগমকেও খরচের একটা অংশ বহন করতে হবে।
বর্তমানে গরম পড়লেই শিলিগুড়ির বেশ কিছু ওয়ার্ডে জল সরবরাহ ব্যাহত হয়। যেসব বাড়ি পুরোপুরি পুরনিগমের জলের উপরই নির্ভরশীল তাঁদের মাসের অধিকাংশ দিনই নির্জলা থাকতে হয় বলে অভিযোগ। অনেকে আবার বাইরে থেকে জল কিনে দৈনিক চাহিদা মেটান।
পুরনিগমের বোর্ড মিটিংয়ে এই সব বিষয় নিয়ে কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলোচনা করেন মেয়র গৌতম দেব। পরে তিনি বলেন, আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। মুখ্যমন্ত্রীও এটা চান। আমরা যাতে এই প্রকল্পের কাজ নিজেরাই পরিচালনা করতে পারি সেই কারণে রাজ্য সরকার সবরকম সহযোগিতা করছে। রাজ্যের পুর দফতরের পক্ষ থেকে আমাদের নতুন বেশ কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ার দেওয়া হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার ১০-১৫ দিনের মধ্যেই কাজ শুরু করব। প্রথম পর্যায়ের কাজের জন্য ২০২ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
অনির্বাণ রায়