যে ছেলের সঙ্গে একদিন আগেই কথা হল, একদিনের ব্যবধানে তাঁর মৃত্যুর খবর শুনতে হবে এমন কথা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি রায়চোধুরী পরিবার। তুষারধসে বিপর্যস্ত সিকিম থেকে আসা ছেলের মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়ছে রায়চোধুরী পরিবার। সিকিমের তুষারধসে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় সাত জনের। সিকিমের ১৫ মাইলের কাছে তুষারধসে মৃতের তালিকায় নাম রয়েছে শিলিগুড়ির রায়চৌধুরী পরিবারের একমাত্র ছেলের। জানা গিয়েছে, শিলিগুড়িতে একটি বেসরকারি কর্ম প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে সৌরভ।
advertisement
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিসের ভয়ে কাঁটা? রোজ বিট নুন খাওয়া শুরু করুন, ম্যাজিক হবে!
সেই সংস্থারই কোনও কাজের সূত্রে সিকিমে গিয়েছিলেন সৌরভ। মঙ্গলবার ছুটি ছিল বলে তিনি আর তাঁর দুই সহকর্মী একসঙ্গে ছাঙ্গুর দিকে গিয়েছিলেন। সেখানেই ১৫ মাইলের কাছে তুষারধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় সৌরভের। জখম হয়েছেন তাঁর দুই সহকর্মী। খবর পেয়ে বুধবার সকালেই মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে তাঁদের বাড়িতে যান মেয়র গৌতম দেব। শিলিগুড়িতে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের শক্তিগড়ের ১১ নম্বর রাস্তায় সৌরভ রায় চৌধুরীর বাড়ি। বাড়িতে বাবা, মা ছাড়াও রয়েছেন বৃদ্ধ ঠাকুমা।
আরও পড়ুন: মন্দিরে বিয়ে করলেন প্রেমিক প্রেমিকা, সংসার শুরুর বদলে যা করলেন, জানলে শিউরে উঠবেন ভয়ে
পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতেও বাড়িতে ফোন করে কথা বলেন সৌরভ। বছর ২৪-এর সৌরভ অফিসের কাজেই গ্যাংটকে যান । বেসরকারি চার চাকা গাড়ি সংস্থায় সেলসের কাজ করতেন তিনি। সংস্থার তরফে পরীক্ষার গার্ড হিসেবে গ্যাংটকে গিয়েছিলেন তিনি। তারপর অবসরে ঘুরতে যাওয়া। সেখান থেকে যে রায়চোধুরী পরিবারের ছেলে আর জীবন্ত বাড়ি ফিরবে না তা কেউ ভাবতে পারেননি। মঙ্গলবার রাতে তাঁর পরিবারের সদস্যদের জানানো হয় যে সৌরভ জখম হয়েছেন। তখনও পরিবারকে মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি। বুধবার সকালেই মৃতের দুই আত্মীয় দেহ আনতে সিকিমে রওনা দিয়েছেন।
অনির্বাণ রায়