বিপর্যয়গ্রস্থ সিকিম থেকে সোজা শিলিগুড়ির ফেরেন ১১ ঘণ্টার যাত্রা শেষে। এই যাত্রাপথ ছিল তাঁদের সকলের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। রীতিমতো জীবন হাতে নিয়েই সিকিম থেকে রওনা হতে হয়েছিল তাঁদের। মাঝে কোনও এলাকায় পথ এক্কেবারে ধ্বসে গিয়েছে। কোথাও আবার আচমকাই রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে পথ। আবার কোথাও ধ্বংসস্তূপের পাশ কাটিয়ে চলতে হয়েছে পথ।
advertisement
আরও পড়ুন: একটা আখরোটেই বদলে যাবে আপনার ঘর! কাঠের আসবাবে এই বাদাম ঘষে নিন, ম্যাজিক দেখে চমকে যাবেন
শিলিগুড়ি ফিরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের মুখোমুখি হয়ে সেই অভিজ্ঞতার কথাই জানালেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া-সহ অধ্যাপকরা। এদিকে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ জন পড়ুয়াদের সঙ্গে সকালে দেখা করেন মেয়র এবং তাঁদের হাতে খাবার তুলে দেন তিনি।
পড়ুয়াদের কথায়, ”সকলেই সুস্থমতো ফিরতে পেরেছি এটাই অনেক। এক পড়ুয়া আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।” বিপর্যয়গ্রস্ত সিকিমে খাওয়া দাওয়ার সমস্যা ছিল যথেষ্টই। ফেরার সময় গাড়িও খুব একটা মিলছিল না। প্রায় তিন গুন গাড়ি ভাড়া মিটিয়ে সিকিম থেকে রওনা হতে হয়েছিল। অন্য দিকে তিস্তা বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কালিম্পঙের বেশকিছু এলাকা। সেখানকার ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে শিলিগুড়ি পুরনিগম। এক ট্রাক ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে শিলিগুড়ি থেকে। দুধ, বিস্কুট, চাল-সহ বিভিন্ন জরুরি সামগ্রী থাকছে। কালিম্পঙের জেলাশাসকের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেওয়া হবে।
অনির্বাণ রায়