জানা গিয়েছে, পক্ষাঘাতগ্রস্তদের প্রশিক্ষণ দেবেন দুর্ঘটনা থেকে সরে ওঠা প্রশিক্ষকরা। যারা নিজেরাও একসময় কোনও না কোনও দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এমনটাই জানিয়েছেন প্রজেক্ট ম্যানেজার সুব্রত সরকার। এছাড়াও তিনি বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের জন্যই তৈরি এই রিহ্যাব সেন্টার। হাঁটা চলার ক্ষমতা হারিয়ে যাওয়ার পর অনেকেই মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তাই তাঁদের সব ধরনের প্রশিক্ষণ এখানে দেওয়া হবে। তাঁদের ন্যূনতম খরচে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: দীর্ঘদিনের সমস্যা থেকে মুক্তি, সাঁকরাইলে নদীর ঘাটে তৈরি হচ্ছে শৌচাগার ও চেঞ্জিং রুম
হুইল চেয়ারে বসেই প্রশিক্ষক অপূর্ব সামন্ত বলেন, "আমি নিজে হুইল চেয়ারে বসে সারা দেশ ভ্রমণ করছি, খেলাধুলাও করছি। আমি যদি করতে পারি তাহলে সকলেই করতে পারবে। তাই মানসিকভাবে উৎসাহ জোগাতে আমি সবসময় তাদের পাশে রয়েছি। আমার মনে হয় আমাকে দেখলে ওদেরও মনোবল বাড়বে।" কীভাবে হুইল চেয়ার নিয়ে চলাফেরা করতে হয়, কীভাবে সারাদিন শরীরকে সচল রাখা যায় সেই সব কিছু এখানে শেখানো হবে। প্রোজেক্ট ম্যানেজার সুব্রত সরকার বলেন, দুর্ঘটনায় পক্ষাঘাতগ্রস্তদের জন্য এই ধরনের রিহ্যাবের ব্যবস্থা আমাদের দেশে খুব কম রয়েছে। এক জায়গায় থাকতে থাকতে বেডসোর, হুইলচেয়ারে চলাফেরার সমস্যা সহ একাধিক সমস্যাগুলিকে কীভাবে কাটানো যাবে তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বর্তমানে একসঙ্গে ২০ জনের থাকার ব্যবস্থা নিয়ে রিহ্যাব সেন্টারটি শুরু হয়েছে। মন্দির কমিটির সভাপতি সুব্রত সাহা জানান, এই ধরনের কোনও রিহ্যাব সেন্টার শিলিগুড়ি বা উত্তরবঙ্গে হয়ত নেই। আশা রাখছি এই প্রচেষ্টা সফল হবে ও অনেক মানুষ উপকৃত হবেন। তিনি আরও বলেন, এটি একটি ছোট্ট প্রচেষ্টা যাতে প্রত্যেকটি মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচতে পারেন।
অনির্বাণ রায়