এই বিষয়ে এনজেপি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সঞ্জীব পাল জানিয়েছেন উন্নত মানের স্টেশন হোক তা সবাই চায়। কিন্তু তাদের কথা না ভেবেই যদি উচ্ছেদ করে দেওয়া হয় তাহলে না খেয়ে মরতে হবে তাদের। প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে পুনর্বাসন দেওয়া না হলে বৃহতর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন চত্বরে থাকা ব্যবসায়ীরা। স্টেশন পার্শ্ববর্তী এলাকায় থাকা ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, করোনাকালে ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের, এই দোকানগুলি তাদের শেষ সম্বল।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কাজ নেই! পুজোর আগে দুশ্চিন্তায় পাথর শ্রমিকেরা
উন্নত মানের স্টেশন গড়তে গিয়ে মুখের ভাত রেল কেড়ে নিলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন তারা বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে ডাবগ্রাম ফুলবাড়ী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক শিখা চ্যাটার্জি বলেন, রেলের জমিতে দীর্ঘদিন ধরে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ওই দোকানিরা ব্যবসা করে যাচ্ছেন। তৃণমূল নেতাদের মদতে এই ব্যবসা হচ্ছে বলেই পরিষ্কার জানান বিধায়ক শিখা চ্যাটার্জী। বিজেপি বিধায়ক শিখা চ্যাটার্জির দাবি যদি ব্যবসায়ীরা রেল এবং কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি নিয়ে ব্যবসা করে থাকে তাহলে অবশ্যই তাদের পুনর্বাসনের চিন্তাভাবনা করবে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত শিলিগুড়ি পুরনিগম
এই প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি টাউন ব্লক তিন এর আইএনসিটিইউসির সভাপতি সুজয় সরকার জানিয়েছেন, বিজেপি সাধারণ মানুষের কথা না ভেবে সারাক্ষন শুধু আদানি আম্বানির মতো বড় বড় শিল্পপতিদের কথাই চিন্তাভাবনা করে। তিনি আরো বলেন ইতিমধ্যেই ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে রেল দফতরকে জানানো হয়েছে। রেল দফতর মৌখিকভাবে পুনর্বাসনেরও আশ্বাস দিয়েছেন। যদি কেন্দ্রীয় সরকার তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা না করে তাহলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
Anirban Roy