আরও পড়ুন: রাতারাতি ভাগ্য বদল টোটো-চালকের! সকালে ঘুম ভাঙতেই জানলেন তিনি কোটিপতি!
এছাড়াও শাড়ি, অলংকার থেকে রং, প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ। কর্মীদের হাজিরাও বেড়েছে দিনপ্রতি। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিমার দাম অন্তত ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই বলে দাবি মৃৎশিল্পীদের। মনোরঞ্জন পাল বললেন, ‘‘গত বছরও মাটি আনতে এক লরির ক্ষেত্রে পড়ত সাড়ে ছয় থেকে সাত হাজার টাকা । এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ থেকে ১২ হাজার টাকা। অন্য জিনিসের দামও বেড়ে গিয়েছে অনেকটা। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিমার দাম বৃদ্ধি করা ছাড়া আমাদের সামনে আর রাস্তা নেই।’’ এবার প্রতিমা তৈরির যা খরচ পড়বে, তা ক্লাবগুলি থেকে পাওয়া যাবে কি না বুঝতে পারছেন না তারা।
advertisement
আরও পড়ুন: দার্জিলিং বেড়াতে যাচ্ছেন? আংশিক বন্ধ টয়ট্রেন, জেনে নিতে পারেন বিস্তারিত
প্রতিমার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পুজো উদ্যোক্তারাও। দাদাভাই স্পোর্টিং ক্লাবের সম্পাদক বাবুল পালচৌধুরী বলছেন, ‘‘গত বছর যে প্রতিমা আনতে খরচ হয়েছিল ৭০ হাজার টাকা, এবছর ওই ধরনের প্রতিমার ক্ষেত্রে দাম চাওয়া হচ্ছে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা। অন্যথায় যে প্রতিমা দিতে পারবেন না করজোড়ে জানিয়ে দিয়েছেন শিল্পীরা। দাম বেড়েছে অন্য জিনিসপত্রেরও। বুঝতে পারছি না কী করব।’’
শিলিগুড়ির আরেকটি ক্লাবের সভাপতি উদয়ন রায়ের বক্তব্য, “স্পনসররা যদি টাকার অঙ্ক না বৃদ্ধি করে, তবে বিগ বাজেটের পুজো করা অসাধ্য হয়ে দাঁড়াবে। বাজেট বৃদ্ধি ছাড়া কোনও রাস্তা খোলা নেই। তবে কোথা থেকে টাকা জোগাড় হবে, সেটা এখনও বুঝতে পারছি না।’’ একই বক্তব্য অন্যান্য পুজো উদ্যোক্তারও।
দার্জিলিং খবর | Darjeeling News
অনির্বাণ রায়