আরও পড়ুন: সুগন্ধি পাতাতেই চলে একটা গোটা গ্রামের রুটি রুজি
শিল্পী পুষ্পরঞ্জন পাল এবার শুধু গণেশ মূর্তি তৈরি করছেন। বিশ্বকর্মা তিনি তৈরি করছেন না কারণ মাটির দাম অনেক। অশোক পালের মতো মৃৎশিল্পীরা আবার গণেশ ও বিশ্বকর্মার দুই দেবতারই মূর্তি তৈরি করছেন। অশোকবাবু বলেন, ‘এবার আমি কারখানায় ৩০ টির মতো বিশ্বকর্মা ও ৭ টি গণেশ মূর্তি তৈরি করছি। এই সাতটি গণেশ পুজোর বরাত প্রতিবারই নিয়ে থাকি। তাই এবারও নিয়েছি।’ আরেক মৃৎশিল্পী সুমন পালের কথায়, ‘আমি এবছর শুধুমাত্র গণেশ পুজোরই বরাত নিচ্ছি। বিশ্বকর্মা বানাচ্ছি না। গত বছর থেকে এবছর মূর্তির দামও বেড়েছে।’ অন্যচিত্র দেখা গেল কুমোরটুলির আরেক প্রান্তে। আরেক মৃৎশিল্পী রঞ্জিত পাল বলেন, ‘গতবার ১২ টি মূর্তি তৈরি করেছিলাম, এবার ১৬ টি করছি। বিশ্বকর্মার মূর্তি এবারে করছি না।’
advertisement
এবছর মাটি সহ কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিমারও দাম বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা। মৃৎশিল্পী উন্নয়ন সমিতির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এবছর গণেশ ও বিশ্বকর্মার মূর্তির সংখ্যা বেড়েছে। প্রায় ৪০০-এর মতো বিশ্বকর্মার মূর্তি ও ২৫০-এর মতো গণেশ মূর্তি তৈরি করা হচ্ছে। মৃৎশিল্পী উন্নয়ন সমিতির সভাপতি অধীর পালের কথায়, ‘একদিনের ব্যবধানে দুটি পুজো। গোটা কুমোরটুলিজুড়ে এখন কর্মব্যস্ততা তুঙ্গে। এবছর গণেশ ও বিশ্বকর্মাপুজোর বরাতের সংখ্যা বেড়েছে।’ শুধুমাত্র গণেশ ও বিশ্বকর্মাপুজো ঘিরেই নয়, মৃৎশিল্পীদের কারখানায় দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করেও ব্যস্ততা তুঙ্গে। প্রত্যেকটি কারখানায় চলছে জোরকদমে মাটির কাজ। পুজো কমিটির বাজেট বাড়ায় ও পুজোর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাওয়ায় খুশির হাওয়া কুমোরটুলিতে।
অনির্বাণ রায়