মাগুর মাছ চাষের জন্য এমন অবস্থা! কারণটা কী? কে আসলে পুকুরে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা মাগুর মাছ নয়। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে হাইব্রিড মাগুর মাছ চাষ হচ্ছে রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটার দলিলজোত এলাকায়। সেই হাইব্রিড মাগুর মাছ চাষের জন্য ব্যাপক দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে ওই এলাকায়। সে এত ভয়ঙ্কর গন্ধ যে বাড়িতে থাকাই দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। খাবার খেতে গেলেই দুর্গন্ধে গা গুলিয়ে বমি হওয়ার জোগাড়।
advertisement
এই অবস্থায় রীতিমত ক্ষিপ্ত এলাকার মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, এই দুর্গন্ধের বিষয়ে খামার মালিককে বারবার বললেও তিনি কর্ণপাত করছেন না। পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহলে বিষয়টি জানিয়েও সুফল মেলেনি। এদিন বৃহস্পতিবার নিরুপায় হয়ে তাঁরা মাগুর মাছ চাষের খামারে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
আরও পড়ুন: হকার উচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেও পিছু হটল রেল, প্রতিবাদে উত্তাল হল এই স্টেশন
স্থানীয় সূত্রের খবর, সন্ন্যাসীকাটার দলিলজোত এলাকায় দুই ব্যক্তি যৌথভাবে হাইব্রিড মাগুর মাছের চাষ করেন। ৯ টি পুকুর খনন করে কয়েক বছর আগে থেকে এই ব্যবসা চলছে। বর্তমানে সেখানে প্রায় ১৩০০ কুইন্টাল মাগুর মাছ রয়েছে! এদিন ওই খামারে বিক্ষোভ দেখাতে হাজির হওয়া স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মূল সমস্যাটা হাইব্রিড মাগুর মাছের খাবারনিয়ে। হ্যাচারি থেকে মরা মুরগি ও খারাপ ডিম এনে পচানোর পর মাগুর মাছকে খেতে দেওয়া হয়। তাঁদের অভিযোগ, মাগুর মাছের ওই পচানো খাবার মাঠের যত্রতত্র ফেলে দেওয়া হয়। তা থেকেই ব্যাপক দুর্গন্ধ ছড়ায়। সেই দুর্গন্ধের তীব্রতা এতই বেশি যে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের টেকা দায় হয়ে পড়েছে। এমনকি বাড়িতে দরজা-জানলা বন্ধ করলেও ওই দুর্গন্ধ আটকানো যায় না বলে দাবি করেছেন এলাকার মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা চান এই দুর্গন্ধ সমস্যার সমাধানের জন্য মাগুর মাছ চাষ বন্ধ করা হোক। গ্রামবাসীদের এই অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নিয়ে খামার মালিক বলেন, "হ্যাচারি থেকে মরা মুরগি ও খারাপ ডিম নেওয়ার জন্য চুক্তি করা হয়েছে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হয়ে যাওয়ায় মাটিতে পুঁতে রাখা হয়। এলাকার বাসিন্দারা হাইব্রিড মাগুর চাষ বন্ধ করতে না দিলে বন্ধ করে দেওয়া হবে।"
অনির্বাণ রায়