একেই পাহাড়ি এলাকা, তার উপর পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালের অভাব থাকায় পাহাড়বাসীদের চিকিৎসা পরিষেবার জন্য নার্সিংহোম বাদে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য দার্জিলিং জেলা হাসপাতাল অথবা উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে আসতে হত। মিরিকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল হলে পাহাড়বাসীর একটা বড় অংশ আরও উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা পাবে।
advertisement
জানা গিয়েছে, মিরিক হাসপাতালে বর্তমানে রোগীদের জন্য ৩০ টি শয্যা আছে। ৮ জন চিকিৎসক সহ মোট ২৫ জন স্বাস্থ্য কর্মী রয়েছে। গড়ে প্রতিদিন অন্তত ১০ জন রোগী এই হাসপাতালে ভর্তি হন। রাজ্যের তরফে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ওই হাসপাতালকে ১০০ বেডে উন্নিত করা হবে। চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মী মিলিয়ে অন্তত ৭০ জন সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা দেওয়ার জন্য থাকবেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে নতুন হাসপাতাল ভবন নির্মাণের জন্য ১৬ কোটি ৮০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং ভবনের বৈদ্যুতিকরণের জন্য ৩ কোটি ৭২ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হবে।
হাসপাতালটি নির্মাণ হলে মিরিকের পাশাপাশি সুখিয়াপোখরি, পোখরিয়াবং, ঢাজিয়া, মানে বস্তি সহ একাধিক এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন। স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে জিটিএর একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে এই বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন।
অনির্বাণ রায়