আগে ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে চন্দ্রপুলি, ক্ষীরের ছাঁচ, পেস্তার বরফি বা ছানার পায়েসের মতো বিশেষ বিশেষ মিষ্টি এবং কুচো নিমকি বা কচুরির মতো নোনতা প্রতিটি বাঙালি বাড়িতেই তৈরি করা হতো। পরে অবশ্য মিষ্টি তৈরি করতেন যাঁরা, তাঁরা বিভিন্ন বনেদি বাড়িতে এসে গিন্নিমাদের ইচ্ছে অনুযায়ী রসগোল্লা, পান্তুয়া, ক্ষীরমোহন, রসখাজা বা পদ্মনিমকি চোখের সমুখেই তৈরি করে দিয়ে যেতেন। সেসব যুগ এখন বইয়ের পাতায়। শহরের যেসব এলাকায় একাধিক মিষ্টির দোকান গড়ে উঠেছে, তাদের মধ্যে অন্যতম ঘোষ সুইটস।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ভাই ফোঁটার দিন মাছের বাজারে আগুন দর! কিনতে এসে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা
আশিঘরের বহু বছরের পুরনো এই দোকানে প্রত্যেক বছরই বিভিন্ন ধরনের ভাইফোঁটা স্পেশাল মিষ্টি নিয়ে আসে। সেখানকার কর্ণধার তপন ঘোষ বলেন, ভাইফোঁটায় তাঁদের বিশেষ মিষ্টির মধ্যে ‘বাদাম ভোগ’ অন্যতম। সাধারণ মিষ্টির চেয়ে যা বেশ খানিকটা বড়, যার ভিতরে রয়েছে রসের মায়াজাল। এক কামড়েই ‘ইমপ্রেসড’ হবেন মানুষ।
আরও পড়ুনঃ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের টাকা বাঁচিয়ে ক্যান্সার আক্রান্তদের পাশে রাজগঞ্জের ইয়ংস্টার ক্লাব
এ বছরের স্পেশাল আইটেম গুলির মধ্যে রয়েছে বাদাম ভোগ, মহা রোল, কিমা রোল, রস মালাই, ক্ষির পুলি,মালাই চপ, গোলাপ লাড্ডু, গাজর কালাকান, এইচ পি সফট সন্দেশ, ক্ষীরের কাচা গোল্লা সহ আরো নানান রকম মিষ্টির সম্ভার। মিষ্টির দোকানের কর্ণধার তপন ঘোষ জানান প্রতিবছরই ভাইফোঁটার দিন আমাদের নতুন নতুন রকম মিষ্টি তৈরি করা হয় শহর তথা পাশাপাশি জেলাগুলি থেকেও আমাদের দোকানে মিষ্টি নিতে আসে। আমরা আশা করছি এ বছরও ভালো ব্যবসা হবে।
Anirban Roy