শহর লাগোয়া এই ইওয়াম মঠ এখন পর্যটকদের প্রিয় জায়গা হয়ে উঠেছে। শহরের কোলাহলপূর্ণ জীবনের ভিড় থেকে বিচ্ছিন্ন এই ইওয়াম মঠ শিলিগুড়ির মূল কেন্দ্রস্থল থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহার করলেই বিপদ! দিতে হবে ৫০-৫০০ টাকা জরিমানা
জঙ্গল ঘেরা বেঙ্গল সাফারি ঠিক পেছন দিকটাতে এমন সুন্দর একটি বৌদ্ধমঠ পৌঁছলেই মন ভাল হতে বাধ্য। কারণ ওই জায়গার শীতল পরিবেশ এবং স্নিগ্ধতা সব দুঃখ, সমস্যা দূর করে দেয়। এই ইওয়াম তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের নাইংমা স্কুল প্রচার করে যা চারটি উল্লেখযোগ্য ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রাচীনতম বলে বিবেচিত হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: স্কুল চলাকালীনই পড়ুয়াদের উপর ভেঙে পড়ল ছাদের একাংশ! খড়গপুরে গুরুতর আহত দুই শিশু
মঠটি বৌদ্ধদের কাছে খুব পবিত্র একটি স্থান। সাততলা মঠটিতে অত্যাশ্চর্য শিল্পকর্ম এবং জটিল খোদাই রয়েছে। জমকালো কিলখোর আঁকা দেয়াল এবং পুরো ছাদ জুড়ে যে শিল্পকলা রয়েছে তা আপনাকে অবাক করবে।
আলিপুরদুয়ার থেকে ঘুরতে আসা অভীক দাস বলেন, ” আমি প্রথমবার এই জায়গায় ঘুরতে এলাম। এত বড় বৌদ্ধ মঠ আমার দেখা প্রথম। এখানে অদ্ভুত একটা শান্তি রয়েছে। একবার এখানে এলে সহজে ফিরে যেতে ইচ্ছে করবে না।
অন্যদিকে, রামকেশ চৌধুরী বলে এক পর্যটক জানিয়েছেন, ” অত্যন্ত শান্তিপ্রিয় জায়গা এটি। আর আবহাওয়া খুব সুন্দর। আমি আমার গোটা পরিবারকে নিয়ে এসেছি। সবাই মিলে এই জায়গাটি ঘুরে দারুন উপভোগ করলাম।শহর থেকে একেবারেই কাছে এই জায়গাটি। যেকোনও শেয়ার টোটো করে এখানে খুব সহজেই চলে আসা যায়।”
অনির্বাণ রায়