এক দিকে যেমন ঐতিহ্যবাহী ১৮২০-এর স্টিম ইঞ্জিনের মডেল রয়েছে, ঠিক তেমনই অপর দিকে বর্তমানে টাউন স্টেশনের বেহাল দশারও চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। টাউন ক্লাবের সামনেই রয়েছে আর একটি টাউন ক্লাব। সেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে হেরিটেজ দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের স্টিম ইঞ্জিন, যা দিয়ে ধোঁয়া ও ইঞ্জিনের শব্দ বার হচ্ছে। ঐতিহাসিক এই স্টেশনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক ইতিহাস। তবে বর্তমানে স্টেশনটির বেহাল দশা ভাবিয়ে তুলছে অনেককেই।
advertisement
রাত বাড়তেই নেশার আসর থেকে শুরু করে অপরিষ্কার পরিস্থিতি সবটাই বহুদিনের ইতিহাসকে ক্ষুণ্ণ করছে। তাই প্রশাসন-সহ সাধারণ মানুষের নজর কাড়তে এবং তাঁদের কাছে টাউন স্টেশনকে রক্ষা করার বার্তা দিয়ে এই থিম করা হয়েছে বলে জানান টাউন ক্লাব কর্তৃপক্ষ। থিমের বিশেষ কোনও নাম না দেওয়া হলেও থিমের মাধ্যমে স্টেশনের বর্তমান পরিস্থিতিকে তুলে ধরা হবে। প্লাই-সহ রং করে অবিকল স্টিম ইঞ্জিন বানানো হয়েছে। দেখে মন হবে যেন আপনি টাউন স্টেশনে টয় ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। ৫৪তম বর্ষে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার বাজেটে পুজো হয়েছে এ বার।
আরও পড়ুন: উত্তরের দিনহাটায় মণ্ডপে মণ্ডপে এবারেও রেকর্ড ভিড়! জানুন সেরা পুজোগুলির ঠিকানা
আরও পড়ুন: পুজোয় এবার হোক ভিন্ন স্বাদের মিষ্টিমুখ! স্পেশ্যাল মিষ্টি কিনতে ভিড় এই দোকানে
প্রতি বছর শহরের এই অংশটি যেন পুজো থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে। তাই এই বছর শহরবাসীকে টাউন স্টেশনের পুজোমুখী করতে এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন ক্লাবের সভাপতি বিজয় বিশ্বাস। তাঁর কথায়, “আমরা একাধিক উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে পুজোটি করছি। টাউন স্টেশনের পরিস্থিতির বদল আনতে আমরা বিশেষ এই থিমে পুজো করছি। শহরবাসীর ভাল লাগছে ।প্রতিদিনই ভিড় হচ্ছে পুজোয়।”
পুজো কমিটির সম্পাদক সুভাষ দাসের মন্তব্য, “কোর্ট মোড়ের কাছে আমরা এত বছর ধরে পুজো করছি, তা হয়ত অনেকে জানেনই না। আমরা ধীরে ধীরে নিজেদের পুজোকে বড় করার চেষ্টা করছি। এ বার প্রচুর দর্শনার্থী আমাদের পুজো দেখতে আসছেন।”
অনির্বাণ রায়