শিলিগুড়ি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে লোকগান গেয়ে দর্শকদের মন জয় করলেন তাঁরা। এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্প শুরু হলেই বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে গান গেয়ে অর্থ উপার্জন করেন দয়াময়। তবে বর্তমান সময়ে আধুনিক সঙ্গীতের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পারলেও প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ইডির কোন প্রশ্নের মুখে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয় পিট? শুনুন তাঁর মুখ থেকেই
advertisement
এ দিন পিন্টু বাবুরা তাদের দলে সঙ্গীরা কেউ দোতারা বাজায় আবার কেউ বজায় হারমোনিয়াম, আবার কেউ কবি ঢোল। সব মিলিয়ে জমজমাট। লোকসঙ্গীত বাংলাদেশের সঙ্গীতের একটি অন্যতম ধারা। এটি মূলত বাংলার নিজস্ব সঙ্গীত। গ্রাম বাংলার মানুষের জীবনের কথা, সুখ দুঃখের কথা ফুটে ওঠে এই সঙ্গীতে। এর আবার অনেক ভাগ রয়েছে ।
এটি একটি দেশের বা দেশের যেকোনো অঞ্চলের সংস্কৃতিকে তুলে ধরে। যেমন ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, পল্লীগীতি, গম্ভীরা ইত্যাদি। এ দিন দয়াময় কর্মকার বলেন, বাংলার লোকগান মানুষ ভুলে যাচ্ছে। আমরা বহু বছর ধরে চেষ্টা করে চলছি । সেই গানগুলিকে মানুষের মধ্যে ধরে রাখার। এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্প গুলি শুরু হলেই তাতে আমরা গান গেয়ে কিছুটা উপার্জনও করতে পারি এবং লোকগান গিয়ে সমাজের কাছে সেগুলো বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টাও করছি। অন্যদিকে নরেন বাবু জানান যে এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্প এলে ই তবে আমাদের একটু রোজগারের পথ প্রশস্ত হয় এবং আমরা মানুষকে গান শুনিয়ে তৃপ্তি পায়। আমরা চাই লোকে যেন বাংলার ঐতিহ্য লোকগান গুলিকে ভুলে না যায়। তার প্রচেষ্টাই আমরা দীর্ঘদিন ধরে করে যাচ্ছি এবং দুয়ারে সরকার ক্যাম্প সেই সুযোগটা আমাদের করে দিয়েছে।
অনির্বাণ রায়