আসতে যেতে অনেকেই দেখছেন ব্যাপারটা। হাসপাতালের পাশে দাঁড়িয়ে সেলফিও উঠছে দেদার। শিলিগুড়ির সূর্য সেন কলেজের পাশেই চলছে এই হাসপাতাল। এখানেই পরিবার নিয়ে থাকেন সুনীল।
আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়ির আইটি পার্কে রমরমিয়ে চলছে এই ব্যবসা, পুলিশের হানায় গ্রেফতার একাধিক
দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে সুনীল সাইকেল মেরামতের কাজ করে আসছেন। নিজের দাদার কাছ থেকে সাইকেল মেরামতির কাজ শেখা। তারপর বিভিন্ন জায়গায় কাজও করেছেন সুনীল। শেষে নিজের বাড়িতেই এই সাইকেল হাসপাতাল খুলে বসেন তিনি।
advertisement
কিন্তু এমন একটা ভাবনা মাথায় এলো কী করে? জবাবে সুনীল বলেন, “আমি আগে হিলকার্ট রোডের একটা সাইকেলের দোকানে কাজ করতাম। সেই দোকানটার নাম ছিল শিলিগুড়ি সাইকেল স্টোর। এরপর আমি যখন ব্যবসা শুরু করলাম, মনে হল একটু অন্য রকম নাম দিলে কেমন হয়! অনেক ভেবে মাথায় এল, মানুষের শরীর খারাপ হলে হাসপাতালে যেতে হয়। তাহলে সাইকেলেরও সেখানেই যাওয়া উচিত। আর সেই ভাবনা থেকেই হল হাসপাতালের গোড়া পত্তন।”
আরও পড়ুনঃ পড়ুয়াদের সুবিধার্থে পৃথক ওয়েবসাইট চালু উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে, এবার সব জানা যাবে এক ক্লিকে
সে না হয় হল, কিন্তু হাসপাতালের ‘সাকসেস রেট’ কেমন? জবাব, ১০০ শতাংশ। সাইকেলে যাই হোক না কেন একবার হাসপাতালে এলে সুস্থ না হয়ে উপায় নেই!
সুনিলবাবু জানান, “ইদানিং বাইক টোটোর দৌরাত্ম্য বেশি হওয়ায় সাইকেল ব্যবহারকারীদের সংখ্যা কমেছে। তাই কিছুটা হলেও ব্যবসা এখন ফিকে। তবে এই দোকান করেই ছোট সংসার দেখতে চলছে তার।”
অনির্বাণ রায়