চড়কের ইতিহাস নিয়ে নানা কাহিনি প্রচলিত আছে। নানা মুণির নানা মত। প্রচলিত লোককথা বলছে, রাজা সুন্দরানন্দ ঠাকুর ১৪৮৫ সালে এই পুজোর প্রচলন করেন। তবে তিনি এই পুজো আরম্ভ করলেও তা কখনও রাজবাড়ির পুজো ছিল না বরং এটি ছিল হিন্দু সমাজের লোকসংস্কৃতি। এই পুজোর নেপথ্যে রয়েছে ভূতপ্রেত ও পুনর্জন্মবাদের ওপর বিশ্বাস।
advertisement
এই পুজোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হল দৈহিক যন্ত্রণা। প্রাচীন কৌম সমাজে প্রচলিত নরবলির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এই পুজোর রীতি-নীতির।
সর্বোপরি এই পুজোর মূলে রয়েছে ভূত-প্রেত এবং পূনর্জন্মের গাঁথা। এই পুজোর অঙ্গ হিসাবে ভক্ত, সন্ন্যাসী এবং সাধুসন্তরা হুড়কো দিয়ে নিজেদের চাকার সঙ্গে বেঁধে দ্রুত বেগে ঘুরতে থাকেন। আবার লোহার শলাকা তাঁদের পায়ে ,হাতে, গায়ে, পিঠে, এমনকী জিহ্বাতেও প্রবেশ করানো হয়।এছাড়াও, কুমিরের পুজো, জ্বলন্ত অঙ্গারের ওপর হাঁটা, গায়ে ধারালো জিনিস ফোটানো, ধারালো কিছুর ওপর লাফানো, অগ্নিনৃত্য এই পুজোর বিশেষ অংশ বলে মনে করা হয়।
অনির্বাণ রায়