দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকায় গরু পাচার হচ্ছিল। হদিশ পেয়ে পুলিশ ওই এলাকায় নাকা তল্লাশি চালায় । তারপর এ দিন রাতে শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়ার বিধাননগর মুরলিগঞ্জ চেকপোস্টর সামনে মাঝ রাতের নাকা তল্লাশির সময় সন্দেহভাজন পরপর দুটি ১৭ চাকা গাড়িকে আটক করে পুলিশ। তল্লাশি করার পর গাড়ির ভেতর থেকে গরু ও মহিষ উদ্ধার হয়। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি চালক, খালাসি-সহ গাড়ি দুটিকে বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। পরবর্তীতে বৈধ কাগজপত্র দেখতে না পারায় চালক ও সহকারী চালক সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে বিধাননগর থানার পুলিশ। ধৃতরা হল রফিকুল ইসলাম, মহম্মদ রফিকুল আলম ও চামিনুর আলি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ এবার নন্দীগ্রামে উদ্ধার টাকা, দিন মজুরের বাড়িতে ২ লক্ষ! তদন্তে পুলিশ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেকেই অসমের বাসিন্দা। সোমবার ধৃতদের শিলিগুড়ি মহাকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। ওই মহিষ ও গরু পাচারের সঙ্গে কে বা কারা জড়িত রয়েছে তার তদন্ত শুরু করেছে ফাঁসিদেওয়া বিধাননগর থানার পুলিশ। যেখানে রাজ্য জুড়ে গরুপাচার কাণ্ডে উত্তপ্ত সেখানে রাতের অন্ধকারে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে পাচার নিয়ে জোর জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে ।কোনো বড় চক্র এর পেছনে কাজ করছে বলে সন্দেহ পুলিশের। তবে পাচার কাণ্ডের মাথাকে ধরতে তৎপর রয়েছে তারা।
অনির্বাণ রায়