প্রাক্তন পুরমন্ত্রী তথা শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের উদ্যোগে এই কিরণচন্দ্র শ্মশান ঘাটে বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরি হয়েছিল। সেইসময় দুটি চুল্লি দিয়ে শুরু হয় শবদাহ প্রক্রিয়া। পরবর্তীতে একটি চুল্লি বিকল হয়ে যায়। সেই থেকে একটি চুল্লি দিয়েই শবদাহ প্রক্রিয়া চলছিল। এরফলে মৃতদেহ পোড়ানোর জন্য শ্মশানে দীর্ঘ লাইন পড়ে যেত। হয়রানির সম্মুখীন হতেন শবযাত্রীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: গরমে মাথায় হাত চা বাগানের, ক্ষতির মুখে সেকেন্ড ফ্লাশের উৎপাদন
অন্যদিকে কিরণচন্দ্র শ্মশান ঘাটের ওপর চাপ কমাতে সাহুডাঙিতে বিকল্প বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরি করে এসজেডিএ। এরপরও কিরণচন্দ্র শশ্মানঘাটের উপর চাপ কমেনি। এরপরই দ্বিতীয় চুল্লি তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করে শিলিগুড়ি পুরনিগম। প্রকল্প পাশের পর দ্রুত গতিতে এর কাজ শেষ করা হয়। সেই দ্বিতীয় বৈদ্যুতিক চুল্লির উদ্বোধন করলেন শিলিগুড়ি মেয়র। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া, চেয়ারম্যান প্রতুল চক্রবর্তী, ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সঞ্জয় পাঠক সহ অন্যান্য বোর্ড সদস্যরা।
মেয়র গৌতম দেব বলেন, মানুষের দাবি মেনে নতুন এই বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরির জন্য ১ কোটি ৫৩ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে। আরও কিছু আনুষাঙ্গিক কাজ রয়েছে, তাও দ্রুত শেষ করা হবে। তিনি জানান, এই টাকার মধ্যে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর রাজ্যসভার সাংসদ তহবিল থেকে ৫০ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা দিয়েছেন। অন্যদিকে কুণাল ঘোষ রাজ্যসভার সাংসদ তহবিল থেকে ৬১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা দিয়েছেন। বাকি ৪১ লক্ষ ৬৩ হাজার পুরনিগম নিজের তহবিল থেকে খরচ করেছে।
কিরণচন্দ্র শ্মশান ঘাট নিয়ে এদিন মেয়র বেশ কিছু পরিকল্পনার কথা জানান। বলেন, পুরোনো চুল্লির সংস্কার করা হবে। শবদেহ রাখার জন্য ইতিমধ্যেই শেড করা হয়েছে। শবযাত্রীদের জন্য ক্যাফেটারিয়া, ওয়েটিং শেড করা হবে। এছাড়াও তর্পণ সহ অন্তিম ক্রিয়াকলাপের সুবিধের জন্য কৃত্রিম পুকুরও তৈরি করা হবে বলে মেয়র গৌতম দেব জানান। তিনি বলেন, নদীতে অনেকসময় জল না থাকার কারণে সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে এই পুকুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
অনির্বাণ রায়