গত ১০ বছর এ রাজ্যে হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ারের ক্যাপটিভ ব্রিডিং হয়নি বলেই দাবি করেছেন সাফারি পার্কের কর্তারা। আপাতত মা এবং সন্তান দু’জনেই সুস্থ রয়েছে। তবে এখনও সদ্যোজাতকে মা ফুরবু নিজের কাছ ছাড়া না করায় তার লিঙ্গ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। বনকর্তাদের প্রাথমিক ধারণা, স্ত্রী শাবকের জন্ম দিয়েছে ফুর্বু । রয়্যাল বেঙ্গল বাঘের পর এই প্রথম সাফারি পার্কে ভালুকের জন্ম হল। ফলে এখন বেঙ্গল সাফারি পার্কে ভালুকের সংখ্যা বেড়ে হল ৬।
advertisement
রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, "দারুণ খুশির খবর। প্রজননে একের পর এক সাফল্য আসছে বেঙ্গল সাফারি পার্কে। এর আগে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের জন্ম হয়েছে। দ্বিগুণ হয়েছে হরিণের সংখ্যা। এ বার ভালুকের জন্ম হল। মা ও শিশুর বিশেষ যত্ন নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"
বেঙ্গল সাফারি পার্কের সহকারী অধিকর্তা রাহুল মুখোপাধ্যায় বলেন, "২৭ মার্চ ফুরবু ওই শাবকের জন্ম দেয়। দুজনেই সুস্থ রয়েছে। তবে এখনই লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়নি। চিকিৎসকের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে।" বেঙ্গল সাফারি পার্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ বছরের ফুরবুকে সিকিমের পাহাড়ি জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে আনা হয়েছিল। পরে তার সঙ্গে বেঙ্গল সাফারিতে ‘সংসার’ শুরু করে ১১ বছরের ধ্রুব। এছাড়া বেঙ্গল সাফারিতে রয়েছে ড্যাডি, জাম্বো ও মোহিনী। আর শাবকটিকে মিলিয়ে সংখ্যা বেড়ে হল ছয়টি।
অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকেই ফুরবুকে যত্নে রেখেছিল পার্ক কর্তৃপক্ষ। ২৭ মার্চ জন্ম দিলেও সেই খবর প্রকাশ্যে আনা হয়নি। জন্মের কিছু দিন পর বিপজ্জনক সময় পার হওয়ার পর সেই খবর প্রকাশ্যে আনে পার্ক কর্তৃপক্ষ। ফুরবুকে খাবারের মধ্যে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসকদের তরফে। অন্তত তিন মাস পর্যটকদের থেকে দূরে রাখা হবে ওই দু’জনকে।
এদিকে, ফুরবু এবং সন্তানের মধ্যে যাতে কোনওরকম সংক্রমণ না ছড়ায় তার জন্যে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যারাই খাবার দিতে যাচ্ছে বা ভিতরে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যাচ্ছে তাদের নিজেকে স্যানিটাইজ করে যেতে হচ্ছে। আপাতত ফুরবুকে জনসমক্ষে আনা হচ্ছে না। সাফারির জন্য ধ্রুব এবং জেনিফারকেই রাখা হবে বলে পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।