এই আশ্রমে ভবঘুরেরা শুধু যে আশ্রয় পাবেন তা নয়, খাওয়া-দাওয়া সহ সমস্ত সুব্যবস্থা আছে তাঁদের জন্য। আসরা সেবা ট্রাস্টের সভাপতি সুভাষ কুম্ভাট, সহ সভাপতি সম্পথমল সানচেতি, কৈলাশ নাকিপুরিয়া সহ শহরের আরও বেশ কিছু বিশিষ্ঠ জনেদের একান্ত প্রচেষ্ঠায় এই আশ্রম তৈরি করা হয়েছে। এখানে সমস্ত ভবঘুরেদের রাতের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিকেল ৫ টা থেকে আশ্রমের দরজা খুলে দেওয়া হয়। তখন কেবল শহর নয়, বিভিন্ন জায়গা থেকে ভবঘুরেরা এসে সেখানে থাকেন। তারপর তাঁদের সন্ধের খাওয়ার দেওয়া হয়। রাতে দেওয়া হয় সুস্বাদু আহার। সকালে ফের প্রাতরাশ দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতায় পৌঁছনোর আগেই অভিযানে চালিয়ে ৬০০০ বোতল নিষিদ্ধ ফেনসিডিল উদ্ধার এসটিএফ-র
সকাল ৮ টার মধ্যে তৈরি হয়ে তাঁরা বেরিয়ে পড়েন কাজের খোঁজে। বেলা গড়ালে ফের ৫ টায় ভবঘুরেরা ফিরে আসেন ওই আশ্রমে। সেখানে শৌচালয় সহ স্নানাগার সব কিছুরই ব্যবস্থা আছে। কেবল থাকা কিংবা খাওয়াই নয়, তাঁদের চিকিৎসা করানোরও ব্যবস্থা আছে। প্রতিদিন সেখানে আসেন এক চিকিৎসক। তাঁদের ঔষুধও দেওয়া হয়। প্রয়োজনে হাসপাতালে পাঠিয়ে তাঁদের চিকিৎসার সম্পুর্ন ব্যবস্থা করা হয়। আর সবটাই বিনামূল্যে। এত কিছুর জন্য একটি অর্থও ভবঘুরেদের ব্যয় করতে হয় না। নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। একইসাথে রয়েছে ভজন কীর্তনের ব্যবস্থা ও মনোরঞ্জনের জন্য রয়েছে টিভি।
পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা ঘর রাখা আছে। তবে, আশ্রমে থাকতে হলে বয়স হতে হবে কমপক্ষে ৪০। সংস্থার সচিব বিজয় চৌধুরী বলেন, এখানে মোট ৪০০ জনের থাকার ব্যবস্থা করা আছে। তবে বর্তমানে কম সংখ্যক পুরুষ এখানে থাকেন। তাঁদের থাকার সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৈলাশ লকিপুরিয়া বলেন, এখানে তাঁদের যাতায়াতের জন্য টোটো রাখা আছে। সেটিও বিনামূল্যে পরিষেবা দেয়। এই উদ্যোগের জন্য সংগঠনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সেখানের আবাসিকরা।
অনির্বাণ রায়