TRENDING:

Siliguri News: বিকেলে দরজা খুললেই নিরাপদ আশ্রয়, সঙ্গে পেট ভরা তিন টাইম খাবার! ভবঘুরেদের দারুন সুযোগ

Last Updated:

ভবঘুরেদের নিরাপদ আশ্রয় সেই সঙ্গে পেট ভরা তিন টাইম খাবার, শিলিগুড়িতে গড়ে উঠেছে অবাক আশ্রম

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
শিলিগুড়ি: মাথা গোঁজার ঠাঁই পায় না ভবঘুরেরা। রোজ দুবেলা দু'মুঠো খাবার‌ও জোটে না তাদের। এভাবেই কেটে যায় জীবন। সেই ভবঘুরেদের রাতে স্বাচ্ছন্দে থাকার ঠিকানা করে দিল আসরা সেবা ট্রাস্ট। শিলিগুড়ির পতিরামজ্যোতে কেবলমাত্র ভবঘুরেদের জন্যই তৈরি হয়েছে আস্ত একটি আশ্রম।
advertisement

এই আশ্রমে ভবঘুরেরা শুধু যে আশ্রয় পাবেন তা নয়, খাওয়া-দাওয়া সহ সমস্ত সুব্যবস্থা আছে তাঁদের জন্য। আসরা সেবা ট্রাস্টের সভাপতি সুভাষ কুম্ভাট, সহ সভাপতি সম্পথমল সানচেতি, কৈলাশ নাকিপুরিয়া সহ শহরের আরও বেশ কিছু বিশিষ্ঠ জনেদের একান্ত প্রচেষ্ঠায় এই আশ্রম তৈরি করা হয়েছে। এখানে সমস্ত ভবঘুরেদের রাতের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিকেল ৫ টা থেকে আশ্রমের দরজা খুলে দেওয়া হয়। তখন কেবল শহর নয়, বিভিন্ন জায়গা থেকে ভবঘুরেরা এসে সেখানে থাকেন। তারপর তাঁদের সন্ধের খাওয়ার দেওয়া হয়। রাতে দেওয়া হয় সুস্বাদু আহার। সকালে ফের প্রাতরাশ দেওয়া হয়।

advertisement

আরও পড়ুন: কলকাতায় পৌঁছনোর আগেই অভিযানে চালিয়ে ৬০০০ বোতল নিষিদ্ধ ফেনসিডিল উদ্ধার এসটিএফ-র

সকাল ৮ টার মধ্যে তৈরি হয়ে তাঁরা বেরিয়ে পড়েন কাজের খোঁজে। বেলা গড়ালে ফের ৫ টায় ভবঘুরেরা ফিরে আসেন ওই আশ্রমে। সেখানে শৌচালয় সহ স্নানাগার সব কিছুরই ব্যবস্থা আছে। কেবল থাকা কিংবা খাওয়াই নয়, তাঁদের চিকিৎসা করানোরও ব্যবস্থা আছে। প্রতিদিন সেখানে আসেন এক চিকিৎসক। তাঁদের ঔষুধও দেওয়া হয়। প্রয়োজনে হাসপাতালে পাঠিয়ে তাঁদের চিকিৎসার সম্পুর্ন ব্যবস্থা করা হয়। আর সবটাই বিনামূল্যে। এত কিছুর জন্য একটি অর্থও ভবঘুরেদের ব্যয় করতে হয় না। নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। একইসাথে রয়েছে ভজন কীর্তনের ব্যবস্থা ও মনোরঞ্জনের জন্য রয়েছে টিভি।

advertisement

View More

পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা ঘর রাখা আছে। তবে, আশ্রমে থাকতে হলে বয়স হতে হবে কমপক্ষে ৪০। সংস্থার সচিব বিজয় চৌধুরী বলেন, এখানে মোট ৪০০ জনের থাকার ব্যবস্থা করা আছে। তবে বর্তমানে কম সংখ্যক পুরুষ এখানে থাকেন। তাঁদের থাকার সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৈলাশ লকিপুরিয়া বলেন, এখানে তাঁদের যাতায়াতের জন্য টোটো রাখা আছে। সেটিও বিনামূল্যে পরিষেবা দেয়। এই উদ্যোগের জন্য সংগঠনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সেখানের আবাসিকরা।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
অরণ্যের নাম গণপুর, কলকাতার খুব কাছে মাত্র ৫০ টাকা খরচে গভীর জঙ্গলে সঙ্গীকে নিয়ে ঘুরে আসুন!
আরও দেখুন

অনির্বাণ রায়

বাংলা খবর/ খবর/শিলিগুড়ি/
Siliguri News: বিকেলে দরজা খুললেই নিরাপদ আশ্রয়, সঙ্গে পেট ভরা তিন টাইম খাবার! ভবঘুরেদের দারুন সুযোগ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল