তার হাজিরার প্রথম দিন দেওয়া হয়েছিল ১৫ নভেম্বর। বেশ কিছু জরুরি কাজের জন্য সেই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। যা নিয়ে বিরোধীদের তরফ থেকে নানান মন্তব্য করা হয়েছিল। সে সময় তিনি হুংকার দিয়েছিলেন , "দুধ কা দুধ, পানি কা পানি কর দুঙ্গা। মেরা নাম সুজয় ব্যানার্জি হ্যায়"। সেই কথা মতই চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার দিল্লির ইডি দফতরে হাজিরা দেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: বেহালার স্মৃতি এখনও দগদগে ক্ষত, তবু নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই বিক্রি হচ্ছে ভেজাল সরষের তেল!
হাজিরা পর্ব মিটিয়ে রবিবার তিনি পুরুলিয়া ফেরেন। জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফেরার পরেই তাকে নিয়ে এক প্রকার বিজয় মিছিলে মেতে ওঠে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। হুড খোলা গাড়িতে একেবারে রয়েল মেজাজে ফেরেন তিনি। গাড়ির উপরেই পুষ্পবৃষ্টি শুরু করে তার অনুগামীরা। এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, \"আমি ইডি দপ্তর থেকে হাসিমুখে বেরিয়ে আসবো সেটা আগেই জানতাম। আশা করি আমাকে জেরা করে ওরা স্যাটিসফাইড। আমি ভেবেছিলাম ইডির নোটিশ পাওয়ার পর আমি জনগণের ভালোবাসা হারিয়ে ফেলবো কিন্তু মানুষ আজও যে আমাকে এতটা আপন করে নিয়েছে তা দেখে আমি আপ্লুত"।
আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যের গাড়িতে বান্ডিল-বান্ডিল টাকা, জলপাইগুড়ির ঘটনায় বিস্ফোরক দাবি মমতার
সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভ্যর্থনা জানানো কি ঘিরে একপ্রকার উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছিল তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। আর তার উপরে সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দাবাং অ্যাটিটিউড তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বকে আরও বেশি চাঙ্গা করে তুলেছে।
----শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়