তবে রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে এই দ্বীপে হয়েছে বেশ কিছু উন্নয়ন। আর একেবারেই শেষ মুহূর্তে ভোটের প্রচার সম্পন্ন করতে এই দ্বীপে পৌঁছে গিয়েছিল নিতুরিয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা নিতুরিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি শান্তি ভূষণ প্রসাদ যাদব। এই ত্রিস্তর পঞ্চায়েত আসনে তিন প্রার্থী হয়ে ভোট প্রচার করেন তিনি। দ্বীপের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে গিয়েই নকল ব্যালট পেপার দিয়ে জোড়া ফুল চিহ্নে ভোট দেওয়ার বার্তা দেন তিনি। এ বিষয়ে গ্রামবাসীরা জানান , এই দ্বীপকে কেন্দ্র করেই তাদের জীবন চলছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকার কারণে তারা শহরে কোন কাজ করতে পারে না। গ্রামে চাষাবাদ করেই তাদের জীবন চলে। এই এলাকায় প্রচুর চাষাবাদ হয়। তবে রাজ্য সরকারের বেশ কিছু উন্নয়নমূলক প্রকল্পের আওতাধীন আসতে পেরে তারা অনেকটাই সুবিধা পেয়েছে। বিদ্যুতের বেশ কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে যদি সেই সমস্যার সমাধান করে দেওয়া হয় তাহলে তারা অনেকটাই উপকৃত হবেন।
advertisement
আরও পড়ুন: দাদার হাতে কাস্তে হাতুড়ি! ভাইয়ের হাতে জোড়াফুল! শেষ মুহূর্তের প্রচারে যা ঘটল
এ বিষয়ে নিতুরিয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি শান্তি ভুষণ প্রসাদ যাদব বলেন , শহর থেকে বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপ হলেও প্রায়শই দলের কর্মীরা এই দ্বীপে আসে। মানুষের সুবিধা অসুবিধা কথা শোনে তারা। সরকারি অনেক প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে এই দ্বীপের মানুষেরা। বিদ্যুতের যে সমস্যা রয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর অতিসত্বর তার সমাধান করা হবে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে সুদূর উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলা থেকে এসেছিল এই দ্বীপের মানুষেরা। এককালে এই এলাকায় দুটি বেসরকারি কোলিয়ারি ছিল। সেই কয়লা খনিকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল আধিকারিকদের বাংলো ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র।
আরও পড়ুন:
তবে শালতোড়া কোলিয়ারি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত কিছুই পরিবর্তন হতে শুরু করে। তবে ভোটের সময় শাসক দলের উচ্চ নেতৃত্বরা এই দ্বীপে নৌকা পেরিয়ে পৌঁছে যান প্রচারের জন্য। দ্বীপের মানুষরাও নিজেদের সুবিধা ও অসুবিধার কথা তুলে ধরেন তাদের কাছে। একইভাবে পঞ্চায়েত ভোটের শেষ মুহূর্তে তিন প্রার্থী গ্রামসভার রেনু দেবী শর্মা , সমিতির ববিতা বাউরি পাশওয়ান , জেলা পরিষদের সন্তোষী বাউরির হয়ে প্রচার সারেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তৃণমূল নেতৃত্বদের কাছে পেয়ে খুশি এই দ্বীপের বাসিন্দারা। তারা চান গাংটিকুলি দ্বীপের সার্বিক উন্নয়ন হোক।
শমিষ্ঠা ব্যানার্জি