এই বিষয়ে তনুজা কুমার জানান,পুরনো সমস্ত কথা মনে রাখতে চান না তিনি। গ্রামের মানুষের ইচ্ছাতেই পঞ্চায়েতের প্রার্থী হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নকে সঙ্গে নিয়েই মানুষের জন্য কাজ করতে চান তিনি। জয়ের ব্যাপারে যথেষ্টই আত্মবিশ্বাসী তিনি। স্ত্রীর পঞ্চায়েতের ভোট যুদ্ধে পাশে থাকছেন একদা মাও নেতা নন্দ কুমারও। স্ত্রীকে ভোট চাওয়ার কৌশল শিখিয়ে দিচ্ছেন তিনি। এ বিষয়ে নন্দ কুমার বলেন,”পুরনো পথ ভুলে নতুন করে জীবন শুরু করেছি। এলাকার মানুষেরা আমার স্ত্রীকে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। যতটা সম্ভব স্ত্রীর পাশে থাকার চেষ্টা করছি।”
advertisement
এককালে যিনি অস্ত্র হাতে ভোট বয়কটের কথা বলতেন। রাতের অন্ধকারে ভোট বয়কটের পোস্টার, ব্যানার ঝুলিয়ে দিতেন। সেই মাও এরিয়া কমিটির কমান্ডারের স্ত্রী-ই বলরামপুর ব্লকের ঘাটবেড়া-কেরোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮ নম্বর আসনে তৃণমূলের প্রার্থী। দেওয়াল লেখার তদারকি থেকে মিটিং-মিছিল, বাড়ি বাড়ি গিয়ে চালাচ্ছেন প্রচার। গণতন্ত্রের শরিক হতে এগিয়ে চলেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, একটা সময় বাংলা-ঝাড়খণ্ডের পুলিশের ত্রাস ছিলেন এই নন্দ কুমার। ২০১০ সালের ১১ই আগস্ট বাঘমুন্ডির চড়িদা গ্রাম থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে তাকে। ২০১২ সালে জেল থেকে ছাড়া পান তিনি। তার বিরুদ্ধে ১৯টি মামলা ছিল। একটি মামলায় বেকসুর খালাস হলেও এখনও ১৮টি মামলা রয়েছে তার নামে। নিজের সমস্ত ভুল স্বীকার করে ফিরে আসেন তিনি। বর্তমানে রাজ্য সরকারের অধীনে হোম গার্ডের কাজ করেন। এককালে মাওবাদীদের রমরমা এলাকা ঘাটবেড়া আজ শান্ত স্নিগ্ধ।
শমিষ্ঠা ব্যানার্জি