এই ভাইরাল গানের রচয়িতা ও গায়ক শিকারি কুমার। পুরুলিয়ার আড়সা সিন্ধুপুরের বাসিন্দা তিনি। ২০২১ সালে এই গান পোস্ট করেছিলেন ইউটিউবে। তারপর থেকেই মানভূমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ফুলমণির মাই গানটি। এই গানের মধ্যে রয়েছে দাম্পত্য কলহ , খুনসুটি, প্রেম। গত বিধানসভা ভোটের সময় এই গানকে পুরুলিয়ায় হাতিয়ার করেছিল শাসক থেকে বিরোধী সকলে। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় সেই একই গান হয়ে উঠেছে ক্ষুব্ধ কুড়মিদের নির্বাচনী প্রচারের অস্ত্র।
advertisement
আরও পড়ুন: গ্রাম বাংলার জনমত নেওয়ার আগে নিজেদের মতামত জানাচ্ছেন ভোটকর্মীরা
নিজেদের জনজাতি স্বীকৃতি পাওয়ার দাবিতে আন্দোলনরত কুড়মিরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও রাজনৈতিক দলকেই ভোট না দেওয়ার ডাক দিয়েছে। জঙ্গলমহলের কিছু জায়গায় তারা নিজেরা প্রার্থী দিয়েছে। যেখানে প্রার্থী নেই সেই সব গ্রামে কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষকে ভোট দান থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর সেই কথা প্রচার করতে গিয়েই তারা জনপ্রিয় গানের আদলে দেওয়াল লিখছে- ফুলমণির মাই পার্টির প্রচার লেখতে দিব নাই। কোথাও আবার লিখেছে- ফুলমণির মাই এবার ভোটে লেখতে দিব নাই। কোনও দেওয়ালে লেখা আছে- ফুলমণির মাই ইবার হামদের পাঁচিরে পার্টির লোককে আর লেখতে দিব নাই। আর তাতেই লোকের মুখে মুখে আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে শিকারি কুমারের এই গান।
এই গানটি বেছে নেওয়া প্রসঙ্গে কুড়মিদের বক্তব্য, ফুলমণির মাই গানটি মানভূমের মানুষের জীবনের সাথে অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত। এই গান খুবই লোকপ্রিয়। তাই মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার লক্ষ্যেই এই গানকে হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে গানের স্রষ্টা শিকারি কুমার বলেন, এই গানের যে এখনও এতোখানি জনপ্রিয়তা আছে তা দেখে আমার মনটা ভরে যাচ্ছে। গত বিধানসভা ভোটে প্রচারের জন্য সব রাজনৈতিক দল এই গানকে হাতিয়ার করেছিল। আর এবার কুড়মি সংগঠনগুলি তাঁদের দাবি তুলে ধরতে এই গানকে হাতিয়ার করায় এটি এখন আন্দোলনের ভাষা হয়ে উঠে।
কুড়মিদের এই নতুন হাতিয়ারের কারণে যারা এর আগে ফুলমণির মাই গানটি শোনেননি তাঁরাও এখন ইউটিউবে গিয়ে একবার অন্তত সার্চ করে দেখছে।
শমিষ্ঠা ব্যানার্জি