জানা গিয়েছে, রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় গুলশান খাতুনের। তাঁর বয়স ২০ বছর। স্বামীর নাম ফিরোজ আনসারি। শ্বশুরবাড়ি সাঁওতালডিহি থানার আগুইটার গ্রামে। বুধবার সাঁওতালডিহি রেল গেটের সামনে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তাঁরাই উদ্ধার করে গুলশান খাতুনকে রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার।
advertisement
আরও পড়ুন: ১৪ বছরের নাবালিকাকে জোর করে বিয়ে ও সহবাস! ধৃত 'প্রেমিক'
পুলিশ ঠিক করে ঠিক করে মৃতদেহটি ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের ময়নাতদন্ত করা হবে। সেইমতো দেহটি পুরুলিয়ার দেবেন মাহাত মেডিকেল কলেজ ও সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে মৃতার আত্মীয়দের বক্তব্যে জল্পনা তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে গুলশান খাতুনের সম্পর্ক ভালো ছিল না। মাঝেমধ্যেই অশান্তিই হত। বাপের বাড়ির পক্ষ থেকে একাধিকবার এই অশান্তি মিটমাট করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু লাভ হয়নি।
মৃত মহিলার বাপেরবাড়ির দাবি, গুলশান পাঁচ মাসের অন্তঃসত্তা ছিল। তারা এই মৃত্যু নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। তাদের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজন গুলশানকে খুন করে রাস্তায় ফেলে দিয়ে গেছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথপুর থানার পুলিশ। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি