এই বিষয়ে ভূপালচন্দ্র মাহাত জানান, "এই সত্য মেলা শুরু হয়েছিল স্বাধীনতা আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে। মানভূমের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম কাণ্ডারী সত্যকিঙ্কর মাহাতকে ব্রিটিশরা হত্যা করেছিল। যার ফলে মানভূমের স্বাধীনতা আন্দোলন অনেকটাই স্তিমিত হয়ে পড়েছিল। তখন তাঁর অনুগামীরা স্বাধীনতা আন্দোলনকে আবারও চাঙ্গা করতে সত্য মেলার আয়োজন করেন। একসময় এই মেলায় বিনা নোটিশে গুলি চালায় ব্রিটিশ পুলিশ, যার ফলে শহিদ হন পাঁচ কৃষক। তারপর থেকেই শহিদের স্মরণে এই মেলা শুরু হয়।"
advertisement
আরও পড়ুন: যতটা আশা ছিল সরস্বতী তৈরির তেমন অর্ডার আসেনি, মন খারাপ মৃৎশিল্পীদের
ঝালদার সত্য মেলা এই বছর ৯২ তম বর্ষে পদার্পণ করল। স্থানীয়রা এই মেলাকে হেরিটেজ করার জন্য আবেদন জানান।
দীর্ঘ ঐতিহ্য এতগুলো বছর ধরে বহন করে চলেছে এই মেলা। তবে মেলায় আসা যুব সমাজের আচার আচরণে, ব্যবহার এই ঐতিহাসিক মেলার গুরুত্বকে নষ্ট করছে বলে অনেকেই মনে করছেন। তবে সত্য মেলায় আট থেকে আশি সকলের অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতন।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি