অনেকে মনে করেন টুসু শস্যের দেবী। এবিষয়ে ঝালদা থানার গোকুলনগর গ্রামের মহিলারা জানান, এই টুসু আমরা এক মাস আগে ঘরে স্থাপন করি। প্রতিদিন সন্ধ্যাতে ফুল, মিষ্টি, ভোগ দিয়ে হয় পূজা এবং মকর সংক্রান্তির দিন হয় করা হয় বিসর্জন। এই পুজো গ্রামের মহিলারা মিলিত ভাবে করি। টুসু গানের আসর বসে। টুসু পরব ঘিরে মেতে ওঠে গোটা মানভূম। মকর সংক্রান্তের দিন বিদায় দিতে হয় টুসুকে।
advertisement
আরও পড়ুন - সাইবার ক্রাইমের সঙ্গে লড়তে হাতিয়ার ইলেকট্রনিক্স এভিডেন্স, কীভাবে সংগ্রহ ও আদালতে পেশ নিয়ে সেমিনার
আরও পড়ুন - মিথ্যে নয় একেবারে সত্যি! হিমঝড়ের সতর্কবার্তা, রাজস্থানের মরুভূমি ঢেকে গেল বরফে
মকর সংক্রান্তির দিন টুসু পুজো শেষে পৌষালি বিজয়ায় ছোট, ছোট রঙিন কাগজের চৌডল টুসুর প্রতিভূ হিসেবে নদীতে ভাসানো হয়। টুসু বিদায়ের সময় যে গান গাওয়া হয় তা সেই অঞ্চলের সমাজের ভাবনায় ফুটে ওঠে। পুরুলিয়া জেলার গা ছুঁয়ে বয়ে যাওয়ার সুবর্ণরেখাই নদী হোক বা কংসাবতী, দ্বারকেশ্বর কিংবা কুমারী। পুরুলিয়ার সব নদী তীরেই টুসুর রং লাগে পৌষ সংক্রান্তির দিন। মানভূমের মাটি মেটে ওঠে টুসু পরবে।
আধুনিকতার ছোঁয়ায় বর্তমান প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা টুসু উৎসবে প্রতি সেই টান না দেখালেও প্রবীণরা আজও মানভূমির সেই ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছেন। নেট মাধ্যমে বিভিন্ন টুসু গানের চাহিদা এখন এতই বেড়েছে যে মানুষকে টুসু গান আর মুখে গাইতে হয় না। ডিজিটাল নির্ভর হয়েছে টুসু গান। নেট মাধ্যমে এখন সাউন্ড বক্সে বাজছে টুসু।
Sarmistha Banerjee






