তাঁর নিপুন হাতের কাজের রয়েছে দারুন কদর। তবে লম্বু মিস্ত্রির আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তৃণমূল পরিচালিত ভাগাবাঁধ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তিনি। ২০১৯ সালে ভোটে জিতে উপপ্রধানের দায়িত্ব পেয়েছেন কিন্তু নিজের পেশা বদল করেননি তিনি। আজও সাদামাটা পোশাকে নিজের হাতেই গ্যারেজের সমস্ত কাজ করেন। উপপ্রধান হওয়ার পরেও ভাঙাচোরা মোটর বাইকে করেই সমস্ত জায়গায় যান তিনি। এমনকি স্মার্ট ফোনও তার নেই। বলা যেতেই পারে বিলাসিতার চিহ্নমাত্র নেই তাঁর দৈনন্দিন জীবনে।
advertisement
আরও পড়ুন - Chaitra Navratri : নবরাত্রির প্রথম দিনে মা শৈলপুত্রীকে এই বিশেষ ভোগ দিন, ভাগ্য খুলবে সোনার মতো
এ বিষয়ে লম্বোদর মাহাতো বলেন যে তিনি সমস্ত দলের লোকেদেরই বাইক মেরামত করেন। এটাই তার পেশা, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হলেও তিনি পেশা বদল কোনদিন করবেন না। তিনি দলের কাজ করার পাশাপাশি গ্যারেজের সমস্ত কাজ করেন। কোন দিকেই ত্রুটি রাখেন না।
আরও পড়ুন - Shreyas Iyer মাথায় হাত কেকেআরের, চোটের জন্য অপারেশন করাতেই হচ্ছে শ্রেয়সকে, মিস হবে কী কী
দীর্ঘদিন ধরে লম্বু মিস্ত্রির গ্যারেজে কাজ করা এক কর্মচারীর দাবি , লম্বোদর মাহাতো ভীষণ ভালো মানুষ। উনি সকলের কথাই চিন্তা করেন। সবারই সঙ্গেই ওনার যথেষ্ট সুসম্পর্ক রয়েছে। লম্বু মিস্ত্রীর এহেন সৎ ও স্বচ্ছ জীবন যাপনের জন্য খুশি তার পরিবারের সদস্যরাও।
তার ভাইপো বলেন , উপপ্রধান হওয়ার পূর্বেও তার কাকা যেমনটা ছিলেন , তাদের বাড়ির পরিস্থিতি যেমন ছিল আজও তেমনই রয়েছে। কাকাকে নিয়ে যথেষ্ট গর্ববোধ করেন তিনি।
প্রতিনিয়ত সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীদের দুর্নীতির খবর যখন প্রকাশ্যে আসছে তখন পুরুলিয়া শহরে লম্বোদর মাহাতোর মতো একজন সৎ মিস্ত্রি শহরবাসীর মনে দাগ কাটছে।
Sharmistha Banerjee