এ বিষয়ে দুলু মহান্তি জানান, ১৯৯৯ সালে নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেছিলেন বড়াবাজার বালিকা বিদ্যালয়ে। তার পর পরিবারের মতেই তাঁর বিয়ে হয়ে যায় বলরামপুর পতিডি গ্রামে। বিয়ের পরে পুরোপুরি পড়াশোনার জগত থেকে দুরে সরে যান তিনি। দুই সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় তার। বিয়ের পরেও পড়াশোনার প্রতি তার বরাবরই টান ছিল। বাড়ির অনুমতি নিয়ে তিনি ২০১৮ সালে মালতি শ্যামনগর বিদ্যালয়ের রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয়ে ভর্তি হন।সেখান থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা সফল হন। তারপর বৃত্তিমূলক স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে সফল হয়ে ২০২২ সালে বলরামপুর কলেজে ভর্তি হন। প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির সমস্ত কাজ শেষ করে পড়াশুনো চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তারা মা ও মেয়ে হলেও দুজন সহপাঠী হয়ে বন্ধুর মতো সমস্ত কাজ করেন।
advertisement
আরও পড়ুন : অশুভ শক্তি দূর করে বাড়িতে সৌভাগ্য বয়ে আনে এই ফুলগুলি
এ বিষয়ে দুুলু মহান্তির শাশুড়ি পুতুলরানি পতি জানান , বৌমার ইচ্ছে পূরণ হোক। ওর যতদুর ইচ্ছে পড়ুক। তারা সবাই তাঁর পাশে আছে। কথায় আছে ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়। তাই সমস্ত প্রতিকূলতা কাটিয়ে নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন গৃহবধূ দুলু মাহান্তি। তাঁকে দেখে আগামী দিনে আরও অনেকে পড়াশুনার প্রতি আগ্রহ দেখিয়ে এগিয়ে আসবে এমনটাই আশা করা যাচ্ছে।





