উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালে ব্রিটিশদের হাতেই তৈরি হয়েছিল এই এয়ারপোর্ট। সেই সময় বিমান ওঠা-নামা করত। পরবর্তীতে এই জায়গাটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। ফেব্রুয়ারি মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরুলিয়া জেলা সফরে এসে এয়ারপোর্ট তৈরির বিষয়ে পূর্বাভাস দিয়ে গিয়েছেন। ঠিক তারপরেই অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার চার সদস্যের একটি দল ও রাজ্য পরিবহণ বিভাগের স্পেশ্যাল সেক্রেটারি ডিকে গুপ্তা, পুরুলিয়ার জেলাশাসক রজত নন্দা, পুলিশ প্রশাসন পরিদর্শন করেছিলেন। এই পরিদর্শনের পর থেকেই এয়ারপোর্ট তৈরির বিষয়ে নানান জল্পনা শুরু হয়েছে। সেই জল্পনা অনেকটাই বাস্তবে রূপ নিচ্ছে।
advertisement
এ বিষয়ে পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেসের সভাপতি তথা বাগমুন্ডির প্রাক্তন বিধায়ক নেপাল মাহাতো বলেন, ১৯৯০ সালের পূর্বে ছররায় এয়ারপোর্ট হিসেবে এই জায়গাটি ব্যবহৃত হত। তিনি বিধায়ক হওয়ার পর বারংবার এয়ারপোর্ট তৈরি করার বিষয়টি বিধানসভায় জানিয়েছিলেন। তৎকালীণ বামফ্রন্ট সরকার বলেছিল পরিত্যক্ত বিমানবন্দরের জমিটি রাজ্য সরকারের নয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। তারপরেই তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানান। তার আবেদনের কিছুদিনের মধ্যেই প্রণব মুখোপাধ্যায়ের দফতর পরিবর্তন হয়ে যায়। সেই সময় পরিবহণ দফতরের দায়ভার বর্তায় এ কে অ্যান্টনির উপর। তিনি বিমানবন্দরের গোটা জমিটাই রাজ্য সরকারকে হস্তান্তর করেন। তারপর থেকেই তোড়জোড় চলছে পুরুলিয়ার ছররায় অত্যাধুনিক মানের বিমানবন্দর তৈরি করার। কিন্তু বাম আমলে সেই কাজ সম্পন্ন হয়নি। রাজ্যে পালাবদলের পর বর্তমান সরকারের আমলে যদি এয়ারপোর্ট তৈরি হয়, তাহলে পুরুলিয়ার মানুষদের অনেকটাই উপকার হবে। উদ্যোগপতিরা পুরুলিয়ায় ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে আরও আগ্রহী হবেন। সমগ্র পুরুলিয়ার ভোল বদলে যাবে যদি এয়ারপোর্ট এই জায়গায় তৈরি হয়।
আরও পড়ুন- দারিদ্র্য ছিল নিত্যসঙ্গী; হোটেলেও কাজ করতে হয়েছে! এখন এই অভিনেত্রীর আয় শুনলে চমকে উঠবেন!
পর্যটন শিল্প পুরুলিয়ায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ পাশাপাশি অন্যান্য শিল্প গড়ে উঠেছে পুরুলিয়ায়। পুরুলিয়া এয়ারপোর্ট তৈরি হলে শিল্পের বিকাশ অনেকটাই ঘটবে। যোগাযোগ মাধ্যমেরও অনেকটাই প্রসার ঘটবে। গোটা জেলার ছবিটাই বদলে যেতে পারে, এই বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করে। পুরুলিয়ার মাটি থেকে বিমান ওড়ার অপেক্ষায় রয়েছে গোটা জেলাবাসী।
শমিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়