প্রসঙ্গত, আদিবাসী জনজাতির মানুষদের এসটি তালিকাভুক্ত করতে হবে এমনই দাবি তুলে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে দক্ষিণ পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের আদ্রা-চান্ডিল শাখায় পুরুলিয়ার কুস্তাউর ও পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর ডিভিশনের খেমাশুলি স্টেশনে অনির্দিষ্টকালীন রেল অবরোধ এবং এই দুই জায়গায় যথাক্রমে রাজ্য ও জাতীয় সড়ক অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধের কর্মসূচি নিয়েছিল আদিবাসী কুড়মি সমাজ। এর বিরোধিতা করে পৃথকভাবে দুটি জনস্বার্থে মামলা হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দেয়। এই রায়ের ফলে নিজেদের অবরোধ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন কুড়মিরা।
advertisement
আরও পড়ুন: গর্ভে ধারণ করেছি, একটু কথা যদি বলতে…! মেয়ের শেষকৃত্যে কান্নায় ভেঙে পড়লেন বিজয়-পত্নী
এ বিষয়ে আদিবাসী কুড়মি সমাজের অভিযোগ, তাঁরা এই অবরোধ কর্মসূচি নেওয়ায় পুলিশ তাঁদের উপর ধারাবাহিকভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে। হাইকোর্টের নির্দেশের পর তাঁরা এই কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর তাঁরা নতুন করে প্রস্তুতি নেবেন।
এই অবরোধ যাতে কোনও ভাবেই না হয়, তার জন্য সোমবার সন্ধ্যা থেকেই কুস্তাউর স্টেশনে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ তাদের বাহিনী মোতায়ন করে। মঙ্গলবার সকাল থেকে রেল স্টেশনের পাশে কাঁটাতার ও বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। এই অবরোধ রুখতে সমস্ত দিক থেকেই প্রস্তুতি নিতে দেখা যায় পুরুলিয়া জেলা পুলিশকে। এর আগেও এই সামাজিক সংগঠন বহুবার অবরোধের কর্মসূচি নিয়েছে। তার জেরে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল জঙ্গলমহলের মানুষদের। তাই সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা করে হাইকোর্ট। এতে অনেকটাই স্বস্তিতে রয়েছে জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা।
শমিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়