প্রসঙ্গত , পুরুলিয়া জেলা পরিষদ ও একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের যৌথ প্রয়াসে প্রায় চল্লিশ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই যন্ত্রটি পুরুলিয়ায় আনা হয়েছে। শুধুমাত্র সাহেব বাঁধ নয় এলাকার অন্যান্য জলাশয় গুলি থেকেও কচুরিপানা নির্মূল করা হবে এই যন্ত্রের মাধ্যমে। এ বিষয়ে পুরুলিয়ার জেলা শাসক ডঃ রজত নন্দা বলেন , কচুরিপানা তোলার পর সেই কচুরিপানা থেকে অন্যান্য সামগ্রী তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে। এতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা যুক্ত হয়ে অনেকটাই উপকৃত হবেন , তাদের রোজগারের বিকল্প একটি পথ তৈরি হবে।
advertisement
এ বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী সন্ধ্যারানী টুডু বলেন , পুরুলিয়ার ঐতিহ্য সাহেব বাঁধ। এই বাঁধকে কচুরিপানা মুক্ত করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে পর্যটকরা যাতে এই বাঁধের প্রতি আরও আকর্ষিত হয় তার জন্য আরও অন্যান্য ব্যবস্থা গ্ৰহন করা হবে।
এ বিষয়ে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাত বলেন , পুরুলিয়ার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র এই সাহেব বাঁধ। এই বাঁধকে সুন্দর করে তুলতে এই মেশিন আনা হয়েছে। আমরা খুব শীঘ্রই সাহেব বাঁধ কচুরিপানা মুক্ত দেখতে পাব। আগামী দিনে এই কচুরিপানা থেকে বিকল্প কিছু তৈরীর চিন্তা ভাবনা রয়েছে।
জেলার অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র সাহেব বাঁধে। কমবেশি সারা বছরই বহু পর্যটক সাহেব বাঁধে বেড়াতে আসেন। ঐতিহ্যবাহী এই সাহেব বাঁধ দীর্ঘদিন ধরে কচুরিপানা পরিপূর্ণ হয়ে থাকার কারণে বহু পর্যটকের মন ভার হয়ে থাকত এখানে বেড়াতে এসে। জেলার ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার প্রচেষ্টাতেই এবার অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হল।
শমিষ্ঠা ব্যানার্জি





