প্রণব মণ্ডল নামে ঐ প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার হওয়ার পর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিস সূত্রে জানা যায়, বনমহড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ২০১৪-১৫ সালে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সেই টাকা সুদ সহ ২০ লক্ষ টাকা হয়েছিল। অথচ স্কুল ভবন তৈরি হয়নি। বতমানে সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মাত্র ৮০ হাজার টাকা পড়ে আছে। এত বিপুল পরিমাণ টাকা কোথায় গেলো এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে।
advertisement
আরও পড়ুন: অবাক কাণ্ড! একমাস আগেও যে খেলার নাম জানত না তাতে নাম দিয়ে তৃতীয় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র
জানা গিয়েছে, স্কুল ভবন নির্মাণের টাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করার পর থেকেই স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক প্রনব মণ্ডল। এতে তাঁর উপর সন্দেহ আরও বেড়ে যায় । এই ইস্যুতে প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলে বিদ্যালয়ে পরিদর্শকের অফিসে ডেপুটেশন জমা দিয়েছিল সিপিএম। সম্প্রতি মানবাজার থানতেও তারা একই ইস্যুতে ডেপুটেশন দেয়। এমনকি ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকে গ্রেফতার না করা হলে মানবাজারে পথ অবরোধের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয় সিপিএমের পক্ষ থেকে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ২০ তারিখ রাতেই পুলিশ এই অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করে।
স্কুলের ভবন নির্মাণের অর্থ তছরুপ নিয়ে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে একটি স্কুল ভবন নির্মাণের জন্য টাকা মঞ্জুর করা হয়। সেই মত স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের নামে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। সেই অ্যাকাউন্টেই বরাদ্দ অর্থ রাখা ছিল। জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত একটি সমস্যা ছিল, তাই সঙ্গে সঙ্গে স্কুল বিল্ডিং তৈরির কাজ শুরু করা যায়নি। পরে সেই জমি জট কেটে গেলে এবং সকলে স্কুল ভবন নির্মানের জন্য উদ্যোগী হতেই এই দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হয়। জানা যায়, ভবন নির্মাণের টাকা যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রাখা ছিল সেখানে ব্যালেন্স একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকই গোটা অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল