উল্লেখ্য, জলের সমস্যার সমাধানের দাবিতে বুধবার ঝালদার ২ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধের করে রাখেন। এর ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় রাঁচি-পুরুলিয়া সড়কে। শেষ পর্যন্ত পুরপ্রধান ও উপ পুরপ্রধানের আশ্বাসে তাঁরা অবরোধ তোলেন। তাঁদের দেওয়া কথা অনুযায়ী শুক্রবার জেলা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা ও ঝালদা পুরসভার কাউন্সিলররা ২ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। ঠিক কী কারণে পানীয় জলের পরিষেবা এলাকার মানুষ পাচ্ছে না তা খতিয়ে দেখেন তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুন: রোদে পুড়ে কর্তব্য পালন, ট্রাফিক পুলিশের জন্য আলাদা ব্যবস্থা
পরে জেলা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার ধীরেন্দ্রনাথ মাহাত জানান, বেশ কিছু জায়গায় অবৈধভাবে জলের পাইপ লাইনে ছিদ্র করে জল নিচ্ছে পুর এলাকার কিছু বাসিন্দা। এই অবৈধ পানীয় জলের লাইন অবিলম্বে বন্ধ করলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর খুব দ্রুত এখানকার অবৈধ জলের কানেকশন বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
পুরুলিয়া জেলায় জলের কষ্ট দীর্ঘদিনের। গ্রীষ্মকালে সেই সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করে। ঝালদার দুই ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা তেমনই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। তবে খুব দ্রুত তাঁদের এই সমস্যা মিটে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি