সীমিত পরিকাঠাময় এমন জটিল অস্ত্রোপচার প্রসঙ্গে বেন মাহাত সদর হাসপাতালের চিকিৎসক পবন মণ্ডল বলেন, এটা সত্যিই জটিল অস্ত্রোপচার ছিল। আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসকেরা সফলভাবে তা করতে সক্ষম হয়েছেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে টানা এক ঘণ্টা ধরে চলে এই অস্ত্রোপচার। এই ধরনের ক্ষতকে ‘ডিপ্রেসড ফ্র্যাকচার স্কাল বোন’ বলা হয়। মোট পাঁচজন চিকিৎসক মিলে এই অস্ত্রোপচার করেন। চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় অস্ত্রোপচার সম্ভব হয়েছে, রোগী এখন সুস্থ রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: সরকারি জমি দখল করে বাড়ি তৈরি করছেন ঠিকাদার! জানুন কোথায়
এ বিষয়ে রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাড়ির ছেলের এই অবস্থা হওয়ার পরে তাঁরা দিশাহীন হয়ে পড়েছিল। দেবেন মাহাত সদর হাসপাতালের চিকিৎসকেরা ‘ভগবানের মত’ তাঁদের ছেলের প্রাণ বাঁচিয়েছেন।
প্রসঙ্গত , চলতি মাসের পাঁচ তারিখে বাঁকুড়ার গুলি কাণ্ডে জখম হয়েছিল গঙ্গাজলঘাটি থানার পাবড়াডিহি গ্রামের বাসিন্দা বছর ৩৮-এর গোবিন্দ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি। টানা আট দিন তাঁর কান থেকে প্রায় দেড় ইঞ্চি উপরে খুলি ভেদ করে হাড়ের মধ্যে আটকেছিল একটি বুলেট। ঘটনার পর গত ৯ সেপ্টেম্বর তাঁকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার খরচ ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে হতাশ হয়ে ফিরে আসে রোগীর পরিবার। এরপর তাকে বাঁকুড়ার অমরকানন গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে গোবিন্দ মণ্ডলকে পুরুলিয়ার দেবেন মাহাত সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানেই সফল অস্ত্রোপচারের প্রাণ বাঁচালেন চিকিৎসকরা।
শমিষ্ঠা ব্যানার্জি





