মঙ্গলবার দেশের পাঁচটি রাজ্যে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে ধর্নায় বসে। সেইসঙ্গে জেলা শাসকদের মাধ্যমে তাঁরা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। ঘটনা হল, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নিজে আদিবাসী সম্প্রদায়ের সদস্য। পুরুলিয়াতেও এই কর্মসূচি পালিত হয়। জেলাশাসকের দফতরের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের সদস্যরা। তাঁরা দশ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি তুলে দেন জেলাশাসকের হাতে।
advertisement
আরও পড়ুন: মাথায় হেলমেট নেই দেখে বাইক চালকের সঙ্গে যা করল পুলিশ...
এইআন্দোলনের বিষয়ে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের পুরুলিয়া জেলার জোনাল প্রেসিডেন্ট গণেশচন্দ্র মুর্মু বলেন, "ঝাড়খণ্ডের পরেশনাথ পাহাড় তথা মারাং বুরুকে বাঁচাতে আমরা পথে নেমেছি। শুধু পুরুলিয়া জেলাতেই নয়, ভারতের পাঁচ রাজ্যে মারাং বুরুকে বাঁচাতে ধর্না প্রদর্শন করা হচ্ছে। ১০ দফা দাবি নিয়ে রাষ্ট্রপতি নামাঙ্কিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে জেলাশাসকের কাছে। আদিবাসীদের আরাধ্য দেবতা মারাং বুরু। পূজার্চনার শুরুতেই আমরা মারাং বুরুর আরাধনা করে থাকি। মারাং বুরু আদিবাসীদেরই প্রধান দেবতা। তাই মারাং বুরুতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদেরই অধিকার থাকবে।"
গিরিডির এই পরেশনাথ পাহাড় জৈন সম্প্রদায় ও আদিবাসীদের কাছে পবিত্র হওয়ার পাশাপাশি তা পর্যটকদের কাছেও অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। এখন দেখার, আদিবাসীদের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার কী পদক্ষেপ করে।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি